Logo
শিরোনাম

গণপরিবহন চালুর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মে 2০২1 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অনেকে কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন, পরিবহনশ্রমিকদের সন্তানেরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। গাড়ি না চললে শ্রমিকেরা টাকা পান‌ না। মালিকপক্ষ প্রতি সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল, আলু দিচ্ছে

গণপরিবহন চালু করাসহ তিন দফা দাবিতে আজ রবিবার সকাল থেকে দেশের সব টার্মিনালে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছেন পরিবহনশ্রমিকেরা। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, পিকআপ চললে গণপরিবহন চলবে না কেন।

ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক বেকার। এতে তাদের জীবিকা নির্বাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। পরিবহনশ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে এলে তার দায়দায়িত্ব ফেডারেশন নেবে না।

আজ সকাল ১০টার দিকে গাবতলীতে ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে পরিবহনশ্রমিকেরা বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে গাবতলী ও এর আশপাশ এলাকায় পরিবহনশ্রমিকেরা মিছিল করেন।

ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, তাদের তিনটি দাবি, এগুলো হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে, সড়ক পরিবহনশ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা দিতে হবে এবং সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল দিতে হবে।

টার্মিনালে জমায়েত হওয়া পরিবহনশ্রমিকেরা বলেন, মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অনেকে কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন, পরিবহনশ্রমিকদের সন্তানেরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। গাড়ি না চললে শ্রমিকেরা টাকা পান‌ না। মালিকপক্ষ প্রতি সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল, আলু দিচ্ছে। কিন্তু এই সাহায্য যথেষ্ট নয়, কত দিন মালিকপক্ষ সহায়তা দেবে, তা নিয়েও শঙ্কা আছে। শ্রমিকেরা বলছেন, সব পরিবহনের শ্রমিকেরা আবার সেই সহায়তা পাননি।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।


আরও খবর