Logo
শিরোনাম

পুকুরে বিষ দিয়ে ১৩ মণ মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬৬৫জন দেখেছেন
Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দূবৃর্ত্তরা।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের পোড়ার ভিটা নামক এলাকায় এঘটনা ঘটে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস্যচাষী আনোয়ার হোসেন ১৩-১৪ বছর আগে বাড়ির পাশে ৪৪ শতক জমিতে একটি পুকুর খনন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছচাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। সরাসরি ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারলে গেল রাতের অন্ধকারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেন তারা। এতে পুকুরে থাকা ১২-১৩ মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।

মৎস্যচাষী আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে আমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে ছিল। গত ১৪-১৫ বছর আগে পোড়ার ভিটা এলাকায় বাড়ি করি। সেসময় অনেক কষ্ট করে একটি পুকুর খনন করি। সেই পুকুরে মাছ চাষ করেই কোনরকম ভাবে সংসারটা চালাচ্ছি। এখানে বাড়ি করার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমার ক্ষতি করে আসছে। গেল রাতে তারা আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে। এতে আমার পুকুরে থাকা ১২-১৩ মণ মাছ মারা গেছে। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। এখন আমার কি হবে। তারা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিল আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন পথ নাই।

মৎস্যচাষী আনোয়ারের ছেলে জনি বলেন, আমি ডিগ্রী তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার বাবা মৎস্য চাষী এই ব্যবসা করেই বাবা  আমার পড়াশোনার খরচ বহন করে। মৎস্য চাষ করেই বাবা কোনরকম সংসারটা চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষের লোকজন রাতে বিষ দিয়ে পুকুরের মাছগুলো মেরে ফেলেছে। এখন আমাদের কি হবে। যারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তাদের বিচার চাই আমি।

এবিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার বলেন, ওই মৎস্যচাষী থানায় এসেছে অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর