Logo
শিরোনাম

২০২২ সালে সড়কে ঝরেছে ৯ হাজার ৯৫১ প্রাণ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২০২২ সালে ৬ হাজার ৭৪৯ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ হাজার ৯৫১ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ৩৫৬ জন।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, এই হতাহতের সংখ্যা গত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

তিনি জানান, ২০২২ সালে ৬০৬টি রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ৫৫০ জন নিহত ও ২০১ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ৩৫৭ জন নিহত ও ৩৫৭ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ আছেন অন্তত ৭৪৩ জন।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৩০৯০ জন চালক, ১৫০৩ জন পথচারী, ৭৪২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮৮৫ জন শিক্ষার্থী, ১৩২ জন শিক্ষক, ২৮৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫০ জন নারী, ৭৯৪ জন শিশু, ৪৪ জন সাংবাদিক, ৩১ জন চিকিৎসক, ১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৫ জন শিল্পী, ৯ জন আইনজীবী ও ২৯ জন প্রকৌশলী এবং ১৬৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

নিহত ১১৪ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ২৭ জন সেনা সদস্য, ৬২ জন পুলিশ সদস্য, ২ র‌্যাব সদস্য, ৯ জন বিজিবি সদস্য, ৫ জন নৌ-বাহিনীর সদস্য, ৮ জন আনসার সদস্য, ২ জন ডিজিএফআই সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, একজন সিআইডি, একজন এনএসআই সদস্য, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ জন সাংবাদিক, ৭০৩ জন নারী, ৫৮৮ জন শিশু, ৬৬৬ জন শিক্ষার্থী, ১১৭ জন শিক্ষক, ২৩৮৩ জন চালক, ৪২১ জন পরিবহন শ্রমিক, ২৭ জন প্রকৌশলী, ৯ জন আইনজীবী, ১৩৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ৩১ জন চিকিৎসক।

বিগত বছরের চেয়ে বিদায়ী বছরে ছোট যানবাহনের সংখ্যা হঠাৎ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়া ও এসব যানবাহন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কে ১২.৭৩ শতাংশ, জাতীয় মহাসড়কে ৩.৮১ শতাংশ, রেলক্রসিং-এ ০.১৬ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ফিডার রোডে ৮.৪৬ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সেইফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এলায়েন্সের চেয়্যারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আবদুল হক, সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন প্রমুখ।


আরও খবর



ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



‘ইমরান খানকে হত্যা করা হবে, না হয় আমাদের’

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে একহাত নিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। তিনি ইমরান খানকে ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন দলের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি দেশের রাজনীতিকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যেখানে হয় তিনি খুন হবেন নাহলে আমরা হব। খবর এনডিটিভির।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) সিনিয়র নেতা রানা সানাউল্লাহ ইমরানের পিটিআই-এর কড়া সমালোচনা করেছেন।

গত বছরের নভেম্বরে পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদের এক র‍্যালিয়ে গুলি হামলার শিকার হন পিটিআই প্রধান। এই হামলার জন্য রানা সানাউল্লাহকে দায়ী করেছেন ইমরান খান। এ ছাড়া ৭০ বছর বয়সী ইমরান তাকে হত্যাচেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একজনকেও দায়ী করেন।

গতকাল রোববার পাকিস্তানের এক প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে সানাউল্লাহ বলেন, ইমরান খান বা আমাদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হবে। তিনি এখন দেশের রাজনীতিকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যেখানে পিটিআই বা পিএমএলএন- দুটির মধ্যে শুধু একটিই থাকতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলে এক অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর থেকে তিনি দেশটির প্রধান প্রধান শহরে একের পর এক সমাবেশ করে আসছিলেন। সেখানে তিনি তাকে হটানোর জন্য বিদেশি শক্তি ও বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দোষারোপ করেন।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




আমরা আর হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা একদিনে ৫০০ বোমা দেখতে চাই না। আমরা আর কোনও হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন। আজ শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি এসময় আরও বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন- এ জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

সাড়ে চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ গিয়ে আজ ৭৩টি নবনির্মিত প্রকল্পের দ্বার উন্মোচন করবেন। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই নগরীকে পূর্ণতা দিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আরও ৩০টি প্রকল্পের। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৩২ উপজেলার সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন। কমপক্ষে ২১টি স্কুল-কলেজে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন একাডেমিক ভবন।

আর এসব নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে ময়মনসিংহের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন অনেক উপহার নিয়ে। আগেও দিয়েছেন, এবারও দেবেন। সবার মুখে হাসি ফোটাবেন তিনি। ময়মনসিংহবাসীরও এবার কিছু দেওয়ার পালা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহ প্রস্তুত।

সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে পুরো ময়মনসিংহ ঝকঝকে-তকতকে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠের সব কাজ শেষ হয়েছে। ওই এলাকা ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

শুধু সমাবেশস্থলেই নয়, গোটা ময়মনসিংহ নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছেন বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, মঞ্চের কাজ শেষ হয়েছে। যারা আসবেন তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সমাবেশ সুন্দর ও সার্থক হবে।

সার্কিট হাউস মাঠের জনসভায় ১২ লাখের বেশি জনসমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন নেতারা। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, আশা করছি এই মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না। মাঠ ভর্তি হয়ে ময়মনসিংহ শহরের রাস্তাঘাটও পূর্ণ হয়ে যাবে। এটি হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা। এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।


আরও খবর



‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান করতে মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকারপ্রধান করতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সবার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে যেভাবে পারছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।

আজ শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টায় যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করেএকটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আবারও নতুন সরকার নির্বাচিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই বিশ্বাস করে না যে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, পেশীশক্তির মাধ্যমে, বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগ সব সময় চিন্তা করেজনগণই তার শক্তি।

মন্ত্রী বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। কারণ, তারা আর অন্ধকারের দিকে যেতে চায় না। তারা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। আলোকিত বাংলাদেশের নাগরিক হতে চায়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি ভাল, স্বনির্ভর, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ দিয়ে যেতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডাক্তার মো. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।


আরও খবর



মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে সেনাবাহিনীর হামলা, নিহত ৩০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী শান রাজ্যের এক মঠে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।

কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) জানিয়েছে, সেনারা শনিবার নান নেইন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, দুই বছর আগে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের ঘটনা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কিছু লড়াই হয়েছে শান রাজ্যে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাজ্যটির সীমান্ত আছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

কেএনডিএফ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে জান্তার বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে এবং মঠে লুকিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে।

তারা অন্তত ৩০ বেসামরিক ও তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে বলে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদপত্র কান্তারাওয়াদ্দি টাইমসের প্রতিবেদনে দেওয়া উদ্ধৃতিতে কেএনডিএফ এর মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক বাহিনীর তাদের মঠের সামনে এনে লাইন ধরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তারপর ভিক্ষুদেরসহ সবাইকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।

কেএনডিএফ এর এক ভিডিওতে অন্তত ২০টি মৃতদেহ দেখা গেছে। লাশগুলো মঠের পাশে স্তূপ করে রাখা ছিল। নিহতদের কয়েকজনের পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহৃত কমলা রঙের পিরান দেখা গেছে।

মৃতদেহগুলোর শরীরে বন্দুকের গুলির আঘাতের মতো অনেক চিহ্ন দেখা গেছে। ভিডিওতে মঠের দেয়ালে গুলির আঘাতে তৈরি হওয়া গর্তও দেখা গেছে।

মঠের চারপাশের কয়েকটি ভবন ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এগুলো গ্রামটিতে সামরিক বাহিনীর হামলার নজির বলে জানিয়েছে কেএনডিএফ।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর যে বাহিনীগুলো যোগ দিয়েছে কেএনডিএফ তাদের মধ্যে একটি।

বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত যাচাই করা কঠিন হলেও মিয়ানমারের এই অংশে নিরস্ত্র বেসামরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল প্রতিরোধের কিছু ঘটনা ঘটেছে।

ওই এলাকার অন্যান্য গ্রামে সামরিক বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার চলতি বছর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছে। এটি তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু বৈধতা এনে দেবে বলে মনে করছে তারা।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও তাদের শাসনের বিরোধীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা, এতে নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধ ২০২১ এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরও ছড়িয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এসব লড়াইয়ের ঘটনায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৪০ হাজার বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ৮০ লাখ শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি লোক খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছেন।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে জান্তার দমনপীড়নে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী অ্যসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স গোষ্ঠী জানিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা বৌদ্ধ মঠ

আরও খবর