প্রথম দিনে মুশফিক-লিটনের ২৫৩ রানের জুটিতে ভর করে ২৭৭ রানে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটারের কাছেই প্রথম সেশনটা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গো। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এই জুটি। দিনের অষ্টম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন। একই ওভারে ফেরেন ৩২ মাস পর টেস্টে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে আর ৮৭ রান যোগ করতে পারে টাইগাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
প্রথম দিনের প্রথম সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের রেশ দ্বিতীয় দিনে এসেও ছিল টাইগারদের। শুরুতে কাসুন রাজিথা ব্রেক থ্রু এনে দেন লিটন দাসকে ফিরিয়ে। ২৪৬ বল খেলে ১৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৪১ রান করেন তিনি। লিটনের বিদায় ভাঙে ৫১৩ বল স্থায়ী ২৭২ রানের রেকর্ড জুটি। এরপর ক্রিজে এলেন আর গেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। রাজিথার বলেই ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর অবশ্য মুশফিক হাল ধরলেন, তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাইজুল ইসলামও। কিন্তু তিনিও ফিরলেন প্রথম সেশন শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে।
এর মধ্যেই ২৯১ বলে ১৯ চারে দেড়শতে পৌঁছেন মুশফিক। টেস্ট ক্যারিয়ারে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি পঞ্চম দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেললেন দ্বিতীয়বার। দেড়শ ছাড়ানো আগের চার ইনিংসের তিনটিতেই দুইশ ছুঁয়েছিলেন মুশফিক। এবারো দেখা পেতে পারতেন আরেকটি ডাবলের। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ফিরে এসে এবাদত হোসেনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২০ বল টিকলেও রান করতে পারেননি এ টেলএন্ডার। অন্যপ্রান্তে মুশফিকুর ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
এবাদতের রানআউট বাদে বাকি ৯ উইকেটই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেট নেন রাজিথা, ৬৪ রান দিয়ে। অসিথা ফার্নান্দোর প্রাপ্তি ৯৩ রান দিয়ে চারটি।