শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন বাংলাদেশ শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান নিয়ে। আগের দিন বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন, ৫২০ করতে পারলে ভালো সুযোগ থাকবে তাদের।
বাংলাদেশ করল তার চেয়ে কিছুটা বেশি। তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে বাংলাদেশ তাদের ইনিংস ঘোষণা করে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে।
টেস্টে এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
টাইগারদের হয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। ১৫৬ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রানে।
তৃতীয় দিনে ১৮ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ যোগ করে ৬৭ রান। মুশফিকের পাশাপাশি ফিফটি তুলে নেন লিটন দাসও। কিন্তু ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে গালিতে ওশাদা ফার্নান্দোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০।
মেহেদি হাসান মিরাজ ফেরেন মাত্র ৩ রানে। সুরাঙ্গা লাকমলের এক ওভারে দারুণ নাটক হয় মিরাজের উইকেট নিয়ে। প্রথমে একবার আম্পায়ার তাকে কট বিহাইন্ডে আউট দিলে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। পরের বলেই আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। তাতে দেখা যায় ব্যাটে বল লাগেনি। বেঁচে যান মিরাজ।
তার ভাগ্য শেষ হয় এক বল পরেই। উইকেটকিপারের কাছে ক্যাচ দিয়েই লাকমলের বলে ফেরেন মিরাজ।
পুরো ইনিংস ধীরতালে ব্যাট করলেও একদম শেষ ভাগে আক্রমণের চেষ্টা চালান মুশফিক। ১৭৩ ওভার শেষ হওয়ার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাতে শেষ হয় ওভারের হিসেবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ইনিংস।
এর আগে বাংলাদেশ এই বড় সংগ্রহের ভিত্তি পায় তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুলের ব্যাটে। তামিম ৯০ করে আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত ও মুমিনুল। আউট হওয়ার আগে শান্ত করেন ১৬৩, মুমিনুল করেন ১২৭।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সেরা বোলার ছিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো, তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট পান লাকমল, ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও লাহিরু কুমারা।