Logo
শিরোনাম

আজ নিজদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অন্য দলগুলো যেখানে কাতারে এসেছে বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে, সেখানে ফ্রান্স কাতারে পা রেখেছে সোনালি ট্রফিটি নিজেদের সঙ্গে নিয়েই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তারা, এবারের আসরে ফ্রান্সের ওপর শিরোপা ধরে রাখার চাপটা বেশি থাকবে এটিই যেন স্বাভাবিক। সেই চাপের সঙ্গে দিদিয়ের দেশমের দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে অদৃশ্য শত্রু ইনজুরি। এত প্রতিকূলতা সঙ্গে নিয়েই কাতারের মাটিতে নিজদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ফরাসিরা।

আল জানুব স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ দিবাগত রাত ১টায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ফ্রান্স। সকারুদের  বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ইনজুরি শঙ্কা  ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে।

চোটের কারণে বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি তারকা মিডফিল্ডার এনগোলো কান্তে আর পল পগবার, জায়গা পাননি ডিফেন্ডার প্রেস্নেল কিম্পেম্বেও। বিশ্বকাপ ক্যাম্পেইন থেকে ইনজুরি নিয়ে ফিরে গেছেন  এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার ক্রিস্টোফার এনকুনকু। সর্বশেষ অনুশীলনে চোট পেয়ে সদ্যই দল থেকে ছিটকে গেছেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা ব্যালন ডিঅর বিজয়ী করিম বেনজেমা।

ইনজুরি, সাম্প্রতিক ফলাফল ও মাঠের বাইরের বেশ কিছু বিষয় নিয়েও ফরাসি দলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সব কিছুকে ছাপিয়ে ১৯৬২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের শিরোপাটা ধরে রাখা ফ্রান্সের জন্য কতটা সম্ভব  তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।

গত বছর ফরাসিদের পারফরম্যান্সে বেশ চড়াই উৎরাই লক্ষ্য করা গেছে। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে শেষ ১৬তে সুইজারল্যান্ডের কাছে পেনাল্টিতে হেরে বিদায় নেওয়া দলটি উয়েফা ন্যাশনস লিগ জিতে কিছুটা হলেও পাপ মোচন করেছে। যে কারণে লস' ব্লুসদের নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে তেমন একটা আলোচনা শোনা যাচ্ছে না। শেষ ছয়টি ম্যাচের মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে দেশমের শিষ্যরা। এর মধ্যে ডেনমার্কের বিপক্ষে দুটি পরাজয় দলকে নতুন করে দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে। কারণ বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বে তাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেনমার্ক।

তবে সবকিছু ছাপিয়েও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তকমা লেগে আছে ফরাসিদের সঙ্গে। তাই তাদেরকে এবার শিরোপার লড়াই থেকে কোনভাবেই দূরে সরিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এছাড়া ইনজুরিতে অনেকে ছিটকে গেলেও দলে রয়েছেন  কিলিয়ান এমবাপ্পে আর উসমানে ডেম্বেলেদের মত তরুণ তারকা, সঙ্গে পাবেন আঁতোয়ান গ্রিজম্যান আর অলিভিয়ের জিরূদের মতো অভিজ্ঞ তারকদের।

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ে অবদান রাখা মধ্যমাঠের দুই মূল কান্ডারি এনগোলো কান্তে ও পল পগবার কেউই থাকছেন না এবারের বিশ্বকাপে। চেলসির কান্তে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন।

অন্যদিকে হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে চলতি মৌসুমে এখনো জুভেন্টাসের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি পগবা। আগামী সপ্তাহে দেশমের দলে পগবার ফেরার আশা করা হচ্ছিলো। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে গ্রীষ্মে তুরিনের জায়ান্ট ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর নিজেকে কোনভাবেই ফিট করে তুলতে পারছেন না পগবা।

ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিস স্বীকার করেছেন পগবার দলে থাকাটা জরুরী ছিল। এই দুই মিডফিল্ডার মিলে ১৪৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে ফ্রান্সের মধ্যমাঠে বিশাল একটি শুন্যতার সৃষ্টি করবে। এই অভাব পূরণে ইতোমধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের অরিলিয়েন চুয়ামেনি, এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা আর জুভেন্টাসের আদ্রিয়ান র‍্যাবিওটের ওপরই ভরসা রাখবেন দেশম। ইনজুরি বাঁধা কাঁটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হয় তুলে নিয়েই বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশন শুরু করতে চাই ফরাসিরা।

এদিকে, প্লে-অফে পেরুকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।সকারুদের কোচ গ্র্যাহাম আর্নল্ড প্লে-অফের ফাইনালে ১২০ মিনিটে গোলরক্ষক ম্যাথিউ ডেভিড রায়ানকে বদলি করে মাঠে নামিয়েছিলেন দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক এ্যান্ড্রু রেডমায়নকে। সেই রেডমায়নের উপর ভর করেই বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছায় সকারুরা।

এই নিয়ে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নাম লিখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের তিন আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে গত ৯ ম্যাচে মাত্র একটিতে  জয়ের দেখা পেয়েছে। ২০১০ সালে সার্বিয়ার বিপক্ষে সকারুরা জিতেছিলো ২-১ গোলে।

তবে সাম্প্রতিক ফর্ম এবার বেশ আশা দেখাচ্ছে সকারুদের।  বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে প্রতিবেশী  নিউজিল্যান্ডকে দুই ম্যাচে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো খেলা উপহার দিতে চাই অস্ট্রেলিয়া।

চার বছর আগেও গ্রুপ পর্বে একে অপরের মোকাবেলা করেছিল ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের পেনাল্টি ও আজিজ বেহিচের আত্মঘাতী গোলে ২-১ গোলে জিতেছিলো দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। এর আগে পাঁচবারের মোকাবেলায় সকারুজরা একমাত্র জয় পেয়েছিলো ২০০১ সালের কনফেডারেন্স কাপে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর