Logo
শিরোনাম

আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ৯০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১৩৪৮ সালের বাইশে শ্রাবণ (ইংরেজি ৭ আগস্ট-১৯৪১) কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা সালের পঁচিশে বৈশাখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা সারদা সুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে বাস করতেন।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ছায়ানট নিজস্ব মিলনায়তনে আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়াও, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ববোধিনী পত্রিকায় তার প্রথম লেখা কবিতা অভিলাষ প্রকাশিত হয়। অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে সমসাময়িক বিশ্বে তিনি খ্যাতিলাভ করেন। লিখেছেন বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তার সাহিত্যকর্ম অনূদিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে তার লেখা সংযোজিত হয়েছে।

১৮৭৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ কবিকাহিনী প্রকাশিত হয়। এ সময় থেকেই কবির বিভিন্ন ঘরানার লেখা দেশবিদেশে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস শুরু করেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে, পাবনা, নাটোরে এবং উড়িষ্যায় জমিদারিগুলো তদারকি শুরু করেন কবি। শিলাইদহে তিনি দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেন। এখানে জমিদারবাড়িতে তিনি অসংখ্য কবিতা ও গান রচনা করেন।

১৯০১ সালে শিলাইদহ থেকে সপরিবারে কবি বোলপুরে শান্তিনিকেতনে চলে যান। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত পাঁচটি মহাদেশের ৩০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন। কবি ২ হাজার গান রচনা করেছেন। অধিকাংশ গানে সুরারোপ করেন। তার সমগ্র গান গীতবিতান গ্রন্থে রয়েছে। কবির লেখা আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। ভারতের জাতীয় সংগীতটিও কবির লেখা। জীবিতকালে তার প্রকাশিত মৌলিক কবিতাগ্রন্থ হচ্ছে ৫২টি, উপন্যাস ১৩, ছোটগল্পের বই ৯৫টি, প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রম্হ ৩৬টি, নাটকের বই ৩৮টি। কবির মৃতু্যর পর ৩৬ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী প্রকাশ পায়। এছাড়া ১৯ খণ্ডের রয়েছে রবীন্দ্র চিঠিপত্র। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত কবির আঁকা চিত্রকর্মের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৭৪টি চিত্রকর্ম শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। কবির প্রথম চিত্রপ্রদর্শনী দক্ষিণ ফ্রান্সের শিল্পীদের উদ্যোগে ১৯২৬ সালে প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর

একেক শিশুর পছন্দ একেক ধরনের বই

শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

খুলে গেল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার গেট

মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩