কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ধর্ম প্রাণ মুসলিম
সম্প্রদায়ের তিন দিনবাপী ইজতেমা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা ব্রীজের পূর্ব প্রান্তে
সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে আখিরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ
হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৩ দিনের এ ইজতেমার
পরি সমাপ্তী ঘটে। এর আগে এদিন দুপুরে জুমার নামাজে ইজতেমা ময়দানে লাখো মানুষের ঢল নামে।
দেখা যায়, প্রতি
বছরের ন্যায় এবারও বিশাল মাঠ জুড়ে ইজতেমা প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে হাজার
হাজার মানুষ প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র নিয়ে দুর দুরান্ত থেকে জমায়েত হয়েছেন ইজতেমার প্রাঙ্গনে।
এছাড়াও রাস্তার দুধারে আর মাঠ প্রাঙ্গনের পাশে বিভিন্ন সামগ্রী ও খাবারের দোকান বসেছে।
বাংলাদেশ মুজাহিদ
কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় জুমার নামাজে ইমামতি করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। নামাজ শেষে বিশ্ব মানবতার মুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়। এদিকে
তিন দিনের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শনিবার সকালে হওয়ার কথা থাকলেও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা
দিবসের কারণে
শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ছোট ভাই মুফতি ইসাহাক আবুল খায়ের।
কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, জুমার নামাজের
খুদবা পাঠ এবং নামাজে ইমামতি করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল
করীম। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জুমার নামাজ আদায় করা হয়।
চেয়ারম্যান বলেন,‘ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আখেরি
মোনাজাতের সময় এগিয়ে নিয়ে শুক্রবার রাতে এশার নামাজ শেষে আখেরি মোনাজাত করা হয়। চরমোনাই
পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মোনাজাতে নেতৃত্ব দেন। দোয়ায় বিশ্ব মানবতার
কল্যান কামনা করে আল্লাহর সহায়তা ও রহমত প্রার্থনা করা হয়।’
ইজতেমার আয়োজক
কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল মমেন বলেন, প্রতি বছরের ন্যয় এবারও মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ
রেজাউল করীম পীর সাহেব হুজুরের দোয়ার মধ্যে দিয়েই ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা ভালো ভাবেই
শেষ হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার
(২৩ মার্চ) বাদ যোহর লাখো মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমায় উদ্বোধনী
বয়ান করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।