টেস্ট ক্রিকেট
থেকে বিরতি নেওয়ার কথা ভাবছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরিবারকে সময় দিতে
প্রয়োজনে আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে কোনো ম্যাচেও অংশ না নেওয়ার পরিকল্পনা
আছে তাঁর। তবে, সব কিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির সঙ্গে
আলোচনার পর। জানুয়ারিতে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন সাকিব। কোয়ারেন্টিনের জন্যই
বাছাই করে খেলা ছাড়া আর উপায় দেখেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
নিউজিল্যান্ডে
অনুশীলনে নেমে যাওয়া বাংলাদেশ দলটিকে সব হিসাবেই কমজোরি বলতে হবে। সেটা অভিজ্ঞতার বিচারে
আরও দুর্বল হয়ে গেছে তামিম ইকবাল ও সাকিবের মতো ক্রিকেটার না যাওয়ায়। সাকিবের টেস্ট
খেলতে না যাওয়া নিয়ে আলোচনার সঙ্গে আছে সমালোচনাও। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে জানিয়ে
গেছেন তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা।
এ ব্যাপারে সাকিব
বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা
ইম্পরটেন্ট সেটা আমি জানি, কোনটা প্রেফারেন্স দিতে হবে সেটাও আমি জানি। আসলেই এমন একটা
সময় এসেছে, আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা (বিরতির কথা) করছি। এটাই হচ্ছে ফ্যাক্ট যে, আমি আদৌ
টেস্ট খেলব কি না। খেললেও কীভাবে খেলব। ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলোতে পয়েন্ট সিস্টেম নেই,
সেগুলোতে আমার খেলার দরকার আছে কি না।
আমার এখন আর কোনো
অপশন নেই। বলছি না আমি অবসর নেব। এমনও হতে পারে—২০২২-এর বিশ্বকাপের
পর আমি যদি আর টি-টোয়েন্ট না খেলি, তখন আবার ওয়ানডে ও টেস্ট খেললাম। একসঙ্গে তিন ফরম্যাটে
খেলা প্রায় অসম্ভব আমার জন্য। কারণ, আপনি যদি ৪০-৪২ দিনে দুটি টেস্ট খেলেন, এটা কোনোভাবেই
ফ্রুটফুল নয়। স্বাভাবিকভাবে, আমাকে সিলেকটিভ ম্যাচ খেলতে হবে। এগুলো নিয়ে বিসিবির সঙ্গে
বসে একটা পরিকল্পনা করা জরুরি। সেভাবেই সামনে এগোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জানুয়ারির
ভেতরে পরিকল্পনাগুলো করলে ভালো হবে।