Logo
শিরোনাম

আশা জাগিয়েও সান্ত্বনাটুকু পাওয়া হলো না বাংলাদেশের

প্রকাশিত:সোমবার ২২ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১২০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শেষ ওভারের রোমাঞ্চের পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা শেষ ওভারের রোমাঞ্চের পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ১২৪ রানে আটকা পড়ার পর কে ভেবেছিল ম্যাচটাতে এত রোমাঞ্চ জমে আছে? বাংলাদেশের মতো ধীরলয়ে ব্যাটিং করা পাকিস্তানের শেষ ওভারে দরকার হয় ৮ রান। পুরো ম্যাচে বল হাতে না তোলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এগিয়ে এলেন শেষ ওভার করতে। প্রথম বল ডটের পরই শুরু রোমাঞ্চ। দ্বিতীয়-তৃতীয় বলে আউট সরফরাজ আর হায়দার। চতুর্থ বলে ইফতেখার আহমেদের ছক্কা রোমাঞ্চ কিছুটা কমিয়ে দিতে বাধ্য করল। তবে পঞ্চম বলে তাঁকে আউট করে যেন রোমাঞ্চের শেষটা দেখিয়ে ছাড়তে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের চার হতেই যেন সব রোমাঞ্চের ইতি।

বাংলাদেশের অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচের মতো দ্রুত না হলেও সপ্তম ওভারে ফিরে যান বাবর (১৯)। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হায়দারকে নিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে রাখেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজন ৫১ রানের জুটিতে ম্যাচের গা থেকে অনিশ্চয়তা শব্দটা মুছে দেন। অভিষিক্ত শহীদুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান।

রিজওয়ানের বিদায়ের পর সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারার পথে ছিলেন হায়দার। তবে মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারে যত বিপত্তি। ম্যাচের গা থেকে মুছে দেওয়া অনিশ্চয়তা শব্দটার আগমন তো এই ওভারেই।  শেষ ওভারে পাঁচ বলে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের মুখে ছিল পাকিস্তান। তবে রোমাঞ্চের ইতি টেনে শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন নাওয়াজ। পাকিস্তান ম্যাচ জেতে পাঁচ উইকেটে। টানা তিন টি-টোয়েন্টি জিতে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করল পাকিস্তান। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে প্রথমাবার হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

আজ তিন পরিবর্তনের একটি ওপেনিংয়ে। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ সাইফ হাসানকে বসিয়ে তিন থেকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবু ঠেকানো যায়নি ওপেনিংয়ের ব্যর্থতা। দলীয় ৭ রানে ব্যক্তিগত ৫ রানে শান্ত আউট হলে এই জুটি ভাঙে। আগের দুই ম্যাচে না থাকা শামীম হোসেন একাদশে ঢুকেই উঠে আসেন তিনে। শুরুটা দারুণ সম্ভাবনাময়ী ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটারের।

শাহনেওয়াজ দাহানিকে চার মেরে প্রথমবার তিনে শুরু করেন শামীম। পরের ওভারে কিছুটা রয়েসয়ে থাকার পর দাহানির দ্বিতীয় ওভারে টানা তিনটি ডট দেন শামীম। তবে পরের দুই বলে দারুণ দুটি চারে ভালো কিছুর বার্তা দিচ্ছিলেন শামীম। অন্য প্রান্তে চুপচাপ ছিলেন নাঈম শেখ। অবশ্য পুরো ইনিংসজুড়েই রানের জন্য সংগ্রাহ করেছেন তিনি। এর মধ্যে শামীমের আশাজাগানিয়া ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে উসমান কাদিরের লেগ স্পিনে। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বলটাকে বাউন্ডারিতে আছড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন শামীম কিন্তু ডিপ মিডউইকেটে ইফতেখার আহমেদ অপেক্ষায় ছিলেন ক্যাচের। তাঁর হাতেই বন্দী হন শামীম (২২)।

রান বাড়ানোর চেষ্টার কমতি রাখেননি চারে নামা আফিফ হোসেনও। চেষ্টাগুলো পূর্ণতা পায়নি শামীম-আফিফদের ইনিংসগুলো বড় না হওয়ায়। শামিমের পর কাদিরের বলে আফিফের বিদায়ে আরেকটি ভালো ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে। ১২তম ওভারের শেষ বলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে স্লগ সুইপ করে ছয় মেরেছিলেন আফিফ, ১৫তম ওভারে দ্বিতীয়বার একই কাজ করতে গিয়ে এবার ক্যাচ তুলে দেন। বোলার একই কাদির। শামিম-আফিফের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি নাঈম-মাহমুদউল্লাহরা।

এক প্রান্তে উইকেট আগলে রেখে রান তুলতে পারেননি নাঈম। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে করেন ৪৭ রান। সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। উইকেটে ছটফট করে আউট হন ১৩ রানে। বাংলাদেশ থামে ১২৪ রানে। এই সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি।

নিউজ ট্যাগ: টি-টোয়েন্টি

আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর