আবারও আম্পায়ার
বিতর্কে বাংলাদেশকে হারাল ভারত। ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে মাত্র ৭ ওভারে বিনা
উইকেটে ৬৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তখন বৃষ্টির আইনে বাংলাদেশ ১৭ রানে এগিয়ে। কিন্তু
বৃষ্টি থামতে না থামতেই ভেজা মাঠে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার জন্য চাপ দেয় ভারত ও আম্পয়াররা।
বৃষ্টির পর ৯ ওভারে ৫৪ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। কিন্তু ভেজা মাঠে ব্যাটিংয়ে
নেমে দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তারপরও বেশ লড়াই করে শেষ বলে ৫ রানে হেরে
যায় টাইগাররা।
ম্যাচ পরবর্তী
সংবাদ সম্মেলনে কয়েকবারই প্রশ্নটা করা হলো সাকিব আল হাসানকে। বৃষ্টির পর যখন আবার খেলা
শুরু হলো, বাংলাদেশের মাঠে নামতে কোনো আপত্তি ছিল কি না। ডিএলএসের নতুন লক্ষ্য, অ্যাডিলেড
ওভালের ভেজা মাঠ কোনো কিছু নিয়ে আপত্তি তুলে ওই সময়েই মাঠে নামতে রাজি ছিলেন কি না
তিনি। নাকি অনেকটা জোর করেই বাংলাদেশকে মাঠে নামতে বাধ্য করা হয়েছে।
সাকিব বিষয়টি
এড়িয়ে গেলেও জানা গেছে, মাঠ ভেজা থাকার কারণে ওই সময়ই খেলা আবার শুরু করার পক্ষে ছিলেন
না সাকিব। দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাঠ তখনো খেলার উপযোগী ছিল না। সাকিব আম্পায়ারদের
সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। ওই সময় আবার মাঠে নামতে রাজি ছিলেন না তিনি।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে কথা বলতে নেই। খেলায় তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বিশেষ করে একবার সিদ্ধান্ত
হয়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে চুপ থাকাই নিয়ম। সাকিবও এ কারণেই মুখ খুললেন না। সংবাদ সম্মেলনে
প্রতিবারই কৌশলে এড়িয়ে গেলেন প্রসঙ্গটা। তবে সাকিব বলেন,‘আমার কি ক্ষমতা
আছে আম্পায়ারদের কোনো কিছুতে রাজি করানোর।
দলের সূত্র জানায়,আম্পায়ারদের
সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নেই। অভিযোগ না করার আরেকটা কারণও থাকত পারে। ডিএলএস
পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে যে নতুন লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল, সেটি বরং মূল লক্ষ্যের চেয়ে
তুলনামূলক সহজই ছিল। বেশির ভাগ দলই এমন ম্যাচ জিতে যেত। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা পারেননি।