বিশ্বকাপ ফাইনালের
পাঁচ দিন পরেও একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন লিয়োনেল মেসি। সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করতে চাইছেন
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বিশ্বকাপ জয় তাঁর এ বারের বড়দিনের আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে। বড়দিন
উদ্যাপনের বিশেয পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন তিনি।
ফুটবলের ব্যস্ততার
বাইরে পরিবারের সঙ্গেই অবসর সময় কাটাতে পছন্দ করেন মেসি। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো
এবং তিন ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। বিশ্বকাপের সাফল্য সেই সংসারে খুশির জোয়ার নিয়ে
এসেছে। ছোট থেকে দেখা স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে। তাই বিশেষ ভাবে বড়দিন পালনের পরিকল্পনা
করেছেন তিনি।
বিদেশে কোথাও
নয়, নিজের দেশেই এ বার বড়দিন পালন করবেন মেসি। থাকবেন নিজের শহর রোজারিয়োতেই। তবে
এক বিশেষ অতিথি থাকবেন তাঁর সঙ্গে।
আর্জেন্টিনার
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত বিমানে রোজারিয়োতে এসেছেন লুইস সুয়ারেজ।
সঙ্গে বান্ধবী সোফিয়া বালবি এবং সন্তানদেরও নিয়ে এসেছেন সুয়ারেজ। এ বারের বড়দিনে মেসির
বিশেষ অতিথি সপরিবার সুয়ারেজ। রোজারিয়োর বাড়িতে সুয়ারেজের সঙ্গে বড়দিন পালন করবেন
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
বার্সেলোনায় খেলার
সময় থেকেই সুয়ারেজ এবং মেসি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফুটবল জীবনে যে কোনও বড় সাফল্য পেলে সঙ্গে
সঙ্গে সুয়ারেজকে ভিডিয়ো কল করে জানান মেসি। উরুগুয়ের অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের সঙ্গে এখন
এক ক্লাবে না খেললেও তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট। বিশ্বকাপ জয়ের পর বিশেষ বড়দিন তাই প্রিয়
বন্ধুর সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন মেসি।
সুয়ারেজ ছাড়াও
আরও কয়েক জন পরিচিত ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে দেখা যেতে পারে মেসির বড়দিনের পার্টিতে।
স্পেনের প্রাক্তন মিডফিল্ডার আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, আর্জেন্টিনার প্রাক্তন স্ট্রাইকার
সার্জিয়ো আগুয়েরোও আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন। মেসির বড়দিনের পার্টিতে দেখা যেতে
পারে বিশ্বজয়ী দলের একাধিক সতীর্থকেও। বাড়ির কাছেই কেন্টাকি কান্ট্রি ক্লাবে বড়দিন
পালনের আয়োজন করেছেন মেসি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
হওয়ার পর ট্রফি নিয়ে দলের সঙ্গে বুয়েনস এয়র্সে ফেরেন মেসি। হাজার হাজার মানুষের ভালবাসার
অত্যাচার থেকে বাঁচাতে হেলিকপ্টারে করে মেসি এবং ডি মারিয়াকে রোজারিয়োতে নিয়ে যাওয়া
হয়। দেশে ফিরে ট্রফি নিয়ে ঘুমনোর ছবিও দেন মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতির কথা জানিয়ে
সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।এর মধ্যে মেসি ইচ্ছাপ্রকাশ
করেছেন ফ্রান্সে নিয়ে যেতে চান বিশ্বকাপ।