সবশেষ ম্যাচটা লিওনেল মেসি
খেলেছেন সেই গেল ২২ ডিসেম্বর। এরপরই বড় দিনের ছুটিতে চলে গিয়েছিলেন, সেখানে বাধিয়েছেন
করোনা, এরপর থেকে ফেরার অপেক্ষাটা বাড়ছিল ক্রমেই। তবে শেষ ম্যাচ খেলার ৩২ দিন পর তার
অপেক্ষা শেষ হচ্ছে অবশেষে। রেঁসের বিপক্ষে লিগ ম্যাচ দিয়েই নতুন বছরে প্রথমবারের মতো
মাঠে নামছেন মেসি।
আর্জেন্টাইন মহাতারকার স্কোয়াডে
থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিএসজির আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। তবে ফরাসি
সংবাদ মাধ্যমের ধারণা, নেইমার চোট ও ও কিলিয়ান এমবাপের কুঁচকির সমস্যার কারণে এই ম্যাচে
শেষের দিকে কিছু মিনিট মেসিকে দিতেও পারেন পিএসজি কোচ।
সোমবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে
নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে পিএসজি আতিথ্য দেবে রেঁসের। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে
মেসি সম্পর্কে পচেত্তিনো বলেন, এই সপ্তাহে সে দলের সাথে ভালোভাবেই অনুশীলন করছে। আমাদের
সঙ্গে যোগ দিয়েছে সে, আমি তাতেই খুশি। আগামীকাল সে স্কোয়াডে থাকবে।
পিএসজি অবশ্য লিগে বেশ সুবিধাজনক
অবস্থানেই আছে। ২১ ম্যাচ শেষে ঝুলিতে পুরেছে ৫০ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা নিস তাদের চেয়ে
১১ পয়েন্টে পিছিয়ে।
মেসি গত ডিসেম্বরের শেষ
দিকে আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছু পার্টিতে ছিল তার উপস্থিতি। এরপরই চলতি
বছরের শুরুতে আসে তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর। সেই খবর পাওয়ার চার দিন পরই অবশ্য
করোনা নেগেটিভ এসেছে তার ফলাফল। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে যে ধকল গেছে তার
শরীরের ওপর দিয়ে, সেটা কাটিয়ে উঠতেই তার সময় লেগেছে এতদিন।
সে কারণেই মূলত তাকে নিয়ে
কোনো ঝুঁকি নেয়নি আর্জেন্টিনা দলও। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তিনি নেই
আর্জেন্টিনা দলে। গত বুধবার প্রকাশিত স্কোয়াডে নেই তিনি। যদিও গুঞ্জন আছে, মেসিকে মূলত
পিএসজির অনুরোধেই দলে রাখেননি আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি।
তাকে ছাড়া খেলতে অবশ্য আর্জেন্টিনার
খুব একটা সমস্যা হবে না। বিশ্বকাপ-যাত্রা নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির। তাই মেসির খেলা না
খেলা নিয়ে আর ভাবনা নেই দলটির।