Logo
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ২০

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শীতল মিয়া (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক মিয়া, দুলাল মিয়া, মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন মিয়া, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা ও মুক্তারামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শীতল মিয়া উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোচালক ছিলেন।

গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপভ্যানে কাঠ নিয়ে যাচ্ছিলেন মুক্তারামপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া। পথে তার কাছ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যান করিম মিয়া। এ নিয়ে ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে রহিম মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়।

এর জের ধরে আজ সকালে ধরাভাঙ্গা গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক ও খোকন মিয়াকে মারধর করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়।

হামলায় প্রাণ হারান মুক্তারামপুর গ্রামের শীতল মিয়া। অটোরিকশায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হামলাকারীরা মুক্তারামপুর গ্রামের ছয়টি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। নবীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলা সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা মালেক মিয়া, দুলাল মিয়া মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন মিয়া, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।


আরও খবর