Logo
শিরোনাম

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে এখনও হুমকিতে শতাধিক বসতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন থেকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজার রক্ষায় কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ইতোমধ্যে বাজারের পূর্ব প্রান্তে ব্রহ্মপুত্রের তীরে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়েছে। ফলে হুমকিতে থাকা ঐতিহ্যবাহী বাজারটি আপাতত ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে বলে জানিয়েছে পাউবো। তবে এখনও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে ওই ইউনিয়নের শতাধিক বসতি ও স্থাপনা।

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকিতে থাকা মোল্লারহাট বাজার ও জনবসতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কিছু গণমাধ্যম। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পাউবো কর্তৃপক্ষকে বাজারটি রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়েও যোগাযোগ করেন জেলা প্রশাসক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারটি রক্ষায় প্রতিরক্ষা কাজের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ।

পাউবো সূত্র জানায়, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজারসহ ওই ইউপির প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন চলমান রয়েছে। এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বড় ধরনের প্রকল্প প্রয়োজন। কিন্তু আপাতত ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট বাজারটি রক্ষায় জরুরি প্রতিরক্ষা কাজের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তবে এখনও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

পাউবো আরও জানায়, প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫০ মিটার জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ শুরু হয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ফলে আপাতত বাজারটি ব্রহ্মপুত্রের গ্রাসে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

এদিকে, বাজারটি রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পাউবোর উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ভাঙনের হাত থেকে স্থানীয় বসতি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভাঙনে ভিটে হারাতে বসেছেন মোল্লারহাটের বাসিন্দা জমর উদ্দিন-আছিয়া দম্পতি। আগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র এখন তাদের আঙিনায়। ঘর সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র বসতি গড়বেন সেই সামর্থ্য তাদের নেই। ভিটের এক পাশে ঝুপড়ি করে আতঙ্কে দিনানিপাত করছেন তারা।

জমর উদ্দিন বলেন, ভিটার অর্ধেক গেইছে। বাকি অর্ধেক রক্ষা না হলে ফতুর হয়া যামো। সরকার হামাক না দেখলে কার কাছত যামো।

শুধু জমর উদ্দিন-আছিয়া দম্পতি নন, ওই এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের আঙিনায় চোখ রাঙাচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হবে এসব পরিবার।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডের এক দিকে ব্রহ্মপুত্র আরেক দিকে ধরলার ভাঙন চলছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সরকার পাড়ার বেগম নুরুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া একমাত্র হাই স্কুলসহ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাজার রক্ষায় গৃহীত উদ্যোগের মতো এলাকার বসতি ও বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

বসতি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা বসতি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করায় ইতোমধ্যে বাজারটি রক্ষায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে এলাকার অনেক স্থান এখনও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের লোকজন শনিবার (৪ জুন) এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তারা ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

পাউবো জানিয়েছে, পুরো ইউনিয়নের ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজন প্রকল্প অনুমোদন। বৃহৎ পরিসরের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ কার্যকর নয়। সেখানে স্থায়ী প্রতিরোধমূলক কাজ করতে হবে।

পাউবোর কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বসতি ও স্থাপনাসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। আপাতত মোল্লারহাট বাজার রক্ষায় প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে। পুরো এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বড় প্রকল্প অনুমোদন প্রয়োজন। তাতে অন্তত শত কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ প্রয়োজন হতে পারে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর