দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (কয়লা খনি) কয়লা আত্মসাৎ মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জন কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা স্পেশাল জজ আদালত। সেই সঙ্গে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পুনরায় চার্জ গঠন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জানান, দুদকের করা এই মামলাটি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এই আদালতে আজ বুধবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম কয়লা খনির সাবেক ছয় এমডিসহ ২২ জন কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
সাবেক ছয় এমডি হলেন- যথাক্রমে আবদুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে সকলের সাবেক ডিজিএম ও জিএম পর্যায়ের কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, দুদক দিনাজপুর জেলা কার্যালয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) আত্মসাৎ মামলায় এসব কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করে। যার স্পেশাল মামলা নং-১৫/২০১৯ এবং গত বছরের ২৩ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলমের পক্ষে দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
একই বছরের ১৫ অক্টোবর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে আসামিদের কয়েকজন গ্রেপ্তারও হোন এবং পরে সকলেই জামিনপ্রাপ্ত হোন।