দিনাজপুরের হিলিতে
তিন দিন থেকে ঝরছে বৃষ্টির মতো ঘনকুয়াশা; সেই সঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাসও। হঠাৎ করে জেঁকে
বসেছে শীত। দিনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরগতিতে গাড়ি
চালাচ্ছেন চালকরা। আবার তীব্র শীতে গরম কাপড় পরিধান করেছেন সবাই।
বৃহস্পতিবার সকালে
হিলির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, কুয়াশার
পানিতে রাস্তগুলো ভিজে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে রিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে। আবার তীব্র শীত আর
ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপে জড়োসড়ো হয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
এদিকে হিলি থেকে
জয়পুরহাট, ঘোড়াঘাট ও দিনাজপুর সড়কে দেখা গেছে— বাস, ট্রাক,
কার-প্রাইভেটকার, চার্জারভ্যান-রিকশা ও ঢাকাগামী সব গাড়ি হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
ঘনকুয়াশা আর শীতের প্রভাবে গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলছে। ভোর থেকে কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি
পেতে থাকে। সকাল ৮টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
বাসচালক কায়সার
রহমান জানান, ঘনকুয়াশার মধ্যে খুব কষ্টে ঢাকা থেকে হিলিতে এলাম। ঘনকুয়াশার মধ্যে রাস্তায়
তেমন কিছু দেখাই যাচ্ছে না। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। কুয়াশার
কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে, যার জন্য গন্তব্যে পৌঁছাতে সময়ও বেশি লাগছে।
দিনাজপুর জেলার
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের
পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে কুয়াশাও বেশি পড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুর অঞ্চলের
তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সকাল ৮টা থেকে ৯টার দিকে ৩ ডিগ্রিতে আসতে
পারে বলেও জানান