পাম তেলের দাম আগের চেয়ে কমেছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অন্যান্য ভোজ্য তেলের দাম কমে আসবে
বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেছেন, ‘খোলা চাল কিনে প্যাকেটে করে বিক্রি করছে দেশের অনেকগুলো বড় কোম্পানি।
এজন্য বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে। আইন করে এদের এসব কাজ বন্ধ করা যায় কিনা, তা নিয়ে
চিন্তা করা হচ্ছে।’ চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সচিবালয়ে
নিজ দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘দেশে চালের অভাব নেই। যা প্রয়োজন, সে পরিমাণ চাল বাজারে আছে। যেটা হচ্ছে
সেটা হলো—চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এটা যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে
অভিযান চালানো হচ্ছে। মানুষ কিনছে বলেই কর্পোরেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটে করে চাল বিক্রি
করছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এটাকে জোর করে বন্ধ করার উপায় নেই।’ তবে, চালের দাম কমাতে প্যাকেটজাত
চাল বন্ধ করার জন্য যদি খাদ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সহায়তা চায়, সেটা
করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত পরিস্থিতি উন্নতি না হবে, তত দিন পর্যন্ত স্বল্প দামে
এক কোটি মানুষকে পণ্য দেওয়া হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে এক কোটি মানুষকে কম দামে পণ্য দেওয়া
শুরু হবে। আগের মতো ছয়টি পণ্যই দেওয়া হবে।’
টিপু মুনশি
আরও বলেন, ‘পাম তেলের দাম আগের চেয়ে কমেছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অন্যান্য
ভোজ্য তেলের দাম কমে আসবে।’
এক প্রশ্নের
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে। আমি কখনো
বলিনি, ১৭ কোটি মানুষের পয়সা বেশি হয়েছে। রিয়েলিটি হলো ২০ ভাগ মানুষের লো ইনকাম, সেটাকে
কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। ১৭ কোটি থেকে তিন কোটি বাদ দিলে ১৪ কোটি থাকে। এর মধ্যে
প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড ইউরোপের
মতো। আমাদের দরিদ্র শ্রেণির তিন কোটি মানুষকে অ্যাডজাস্ট করা দরকার, সেটাই করছি।
মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, সেটা আপনারাও জানেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘আমাদের দেখা দরকার, সাধারণ মানুষ সঠিক মূল্যে পণ্য কিনতে পারছে কি না।
ক্রয়ক্ষমতার দুটি দিক রয়েছে—উৎপাদনকারী ও ভোক্তা। আমরা যদি এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই যে, উৎপাদনকারী
আর ইন্টারেস্ট পাচ্ছে না, তাহলে কিন্তু প্রভাব পড়বে। আমাদের দেখতে হবে উৎপাদন খরচ,
প্রফিট, মার্জিন কতোটা থাকা উচিত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাইজের ক্ষেত্রে যেন কোনোভাবে
বড় ধরনের পার্থক্য না থাকে। এটা দেখার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে আমাদের সাহায্য
চাইবে, আমরা সাহায্য করব।’
মন্ত্রী আরও
বলেন, ‘আমাদের কথা হলো নিম্নআয়ের মানুষের স্বার্থ দেখা। যাঁদের টাকা আছে, তিনি
কী করবেন, সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের কথা হলো—ন্যায্য মূল্যে যেসব পণ্য পাওয়া
উচিত, সেটা আমরা অবশ্যই দেখব। খাদ্য মন্ত্রণালয় যখন আমাদের ডাকবে, তখন আমরা অবশ্যই
যাব।’