চিনিসহ নিত্য
পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়
কমিটি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে একাধিক সংসদ সদস্য এ
বিষয়ে কথা বলেন এবং ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, বৈঠকের
আলোচ্যসূচিতে একটি বিষয় ছিল চিনি শিল্পের সর্বশেষ অবস্থা। সংসদীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ
সাহিদুজ্জামান বৈঠকে বলেন, চিনির দাম বাড়ছে। অন্য পণ্যেরও দাম বাড়ছে। কৃষক সার পাচ্ছে
না। কেনো এমনটা হচ্ছে জানতে চান তিনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া
একজন কমিটির আরেক সদস্য জানান, বৈঠকে একাধিক সদস্য সম্প্রতি চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের
দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন। তারা দাম বাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান।
এসময় কমিটির
সদস্যরা অভিযোগ করেন, প্যাকেটজাত চিনিতে প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে এক কেজি। কিন্তু
আসলে প্যাকেটে এক কেজি চিনি থাকে না। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দাবি জানান তারা।
বৈঠক শেষে সংসদ
সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্যাকেটজাত পণ্যের ওজন ও গুণগতমান পর্যবেক্ষণে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
আরও জানানো হয়, বৈঠকে বিসিক কারখানার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া এবং প্রতিনিয়ত বিএসটিআইয়ের
মাধ্যমে তদারকি নিশ্চিত করে অসাধু ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সচেতন থাকার
সুপারিশ করা হয়েছে।
দক্ষ, সৎ ও উপযুক্ত
প্রতিষ্ঠানকে ডিলারশিপ লাইসেন্স দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে
দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয় বৈঠকে।
এছাড়া বৈঠকে জানানো
হয়, সাভার ট্যানারি এলাকা দূষণমুক্ত রাখতে এরইমধ্যে ডাম্পিং ইয়ার্ড-৩ এ প্রয়োজনীয় সংখ্যক
পুকুর খনন করা হয়েছে এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কার্যক্রম চলমান। সার, চিনি
ইত্যাদি দেশীয় মিল কারখানা থেকে উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া
হয়েছে। কাফকোর মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমানোরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এসময়।
বৈঠক শেষে কমিটির
সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেন, চিনি শিল্পের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আমরা বলেছি, যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলো যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন করা হয়।