Logo
শিরোনাম

দাম বাড়ায় আটার ক্রেতায় ভাটা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা আরেক দফা বাড়িয়েছেন আটার দাম। ফলে ঈদুল ফিতরের পর গত এক মাসে তিন দফায় বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। খোলা আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্যাকেটজাত আটার দামও। এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে অস্বাভাবিক হারে আটার দাম বাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে চালের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের যেসব ক্রেতা আটা কিনতেন তাদের অধিকাংশই এখন আটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে আটা বিক্রি কমেছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ এবং শান্তিনগর এলাকার বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি খোলা আটা বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়। আবার কোথাও কোথাও ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে আটা। তবে পাইকারি (৫ থেকে ১০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। আর প্যাকেটজাত আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। দুই কেজি ওজনের আটা বিক্রি হচ্ছে ৯৮ টাকায়। অথচ ঈদের পরের সপ্তাহেও বাজারে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল। প্যাকেটজাত আটার কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গম আমদানি কমেছে। এই ইস্যুতে আটার দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়ানো হয়। এক সপ্তাহ যেতে না যেতে যোগ হয় ডলারের দাম বৃদ্ধির অজুহাত। এই কারণ দেখি পরের সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বাড়ানো হয়।

অন্যদিকে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ায় তৃতীয় দফা দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে ৪২-৪৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আটা কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকায়। তবে কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে আরও ২ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকায়। আর ভালো মানের প্যাকেটজাত আটা ২ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকা ও ১১৫ টাকায়। দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। টিসিবির হিসাবেও গত এক মাসে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম বেড়েছে খোলা আটার দাম।

খোলা ও প্যাকেটজাত আটা সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা ও মেঘনা গ্রুপ। মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র এজিএম তসলিম শাহরিয়ার   বলেন, চাহিদার তুলনায় গম আমদানি কমেছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আটার দাম বেড়েছে। একই কথা বলেন বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টসের জেনারেল ম্যানেজার রেদওয়ানুর রহমানও।  

কারওয়ান বাজারে মেসার্স এইচকে ট্রেডার্সে কর্মরত আহমেদ মঞ্জুর বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে একদিকে গম আমদানি কমেছে। অন্যদিকে ডলারের সংকট পড়েছে। নতুন করে ভারতও গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এসব কারণে আটার দাম বেড়েছে। ১২০০ টাকার বস্তা এখন কিনতে হচ্ছে ১৮০০-১৯০০ টাকা দিয়ে।

মালিবাগের খুচরা বিক্রেতা শাহনূর ট্রেডার্সের ওয়াকিল আহমেদ বলেন, আটার দাম বেড়েই চলছে। ঈদের সময় যে আটার বস্তা ১৩০০ টাকা দিয়ে কিনেছি এখন তা ২১০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তার সঙ্গে যাতায়াত খরচসহ প্রতি কেজি আটা আমাদের কেনা পড়ে ৪৫ টাকা। আমি বিক্রি করছি ৪৮ টাকা কেজি। শান্তিনগরের মুদি দোকানদার আমান উল্লাহ জিহাদী বলেন, আমি খোলা আটা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি করছি। আর প্যাকেটজাত এক কেজি ওজনের আটা বিক্রি করছি ৫০ টাকা। দাম যতই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা দিনদিন ততই কমছে। রোজার আগে দিনে এক বস্তা আটা বিক্রি করেছি। এখন তিন দিনেও এক বস্তা খোলা আটা বিক্রি হয় না। 

মহাখালীর দোকানদার মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা আটা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২২৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ১৮০০-১৯৫০ টাকায়। অর্থাৎ বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এর সঙ্গে যাতায়ত খরচ যোগ হলে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৪৫ টাকা। তাই আমি ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। বাজার করতে আসা মাহমুদুর রহমান শান্ত বলেন, তেল, চাল, ডালে তো হাত দেওয়া যায় না। আটা-ময়দার দাম ওঠানামা করতে করতে একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন কিছু দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলো আটার দাম বাড়িয়েছে। দাম না কমা পর্যন্ত আটা কিনব না।

মহাখালীতে বাজারে বাজার করতে আসা স্কুল শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বলেন, ঈদের আগে আটার দাম ৩৫ টাকা থাকায় একসঙ্গে ৫ কেজি কিনেছিলাম। আজকে বাজারে এসে আমি হতাশ। দোকানিরা বলছে এক কেজি ৫০ টাকা। দিনদুপুরে ডাকাতি! তাই আটা না কিনেই বাসায় যাচ্ছি। দাম কমলে আটা কিনব। 

টিসিবি হিসাব মতে, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি। এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। আটার পাশাপাশি খোলা ময়দা কেজি ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগের যা বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়াও প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা ৬৮ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৬ থেকে ৬৮ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: গম রপ্তানি আটা

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর