কাতার বিশ্বকাপে
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলো হট ফেভারিট
ব্রাজিল। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে
নেইমারের ব্রাজিল। প্রথমার্ধে ব্রাজিলকে আটকে দিয়েছে সার্বিয়া। গোলশূন্য থেকে বিরতিতে
গেছে দু'দল। তবে বিরতি থেকে ফিরেই জোড়া গোল করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের তৃতীয়
মিনিটে নিজেদের প্রান্ত থেকে গুছিয়ে আক্রমণ করে ব্রাজিল। ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে
সার্বিয়ার ডি বক্সে ঢুকে যায় রাফিনহা। সেখান থেকে বাড়ানো বল সার্বিয়ার ডিফেন্ডারদের
গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৫ মিনিটে মাঝমাঠে নেইমারকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড
দেখেন স্ট্রাহিনা প্যাভলোভিচ। ম্যাচের দশম মিনিটে ডি বক্সে বল পান নেইমার। কিন্তু গোলমুখে
শট করতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ১২ মিনিটে
বাম প্রান্ত ধরে সার্বিয়ার ডি বক্সে ঢুকে যায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সেখান থেকে কর্নার
পায় ব্রাজিল। তবে কর্নার থেকে গোল পেতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল। ম্যাচের ২০ মিনিটে ডি বক্সের
বাইরে থেকে সার্বিয়ার গোলমুখে জোড়ালো শট করেন নেইমার। তবে তা সার্বিয়ার ডিফেন্ডারের
গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ২৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় সার্বিয়া। ডান দিক
থেকে ভেসে আসা বল সহজেই গ্লোভস বন্দি করেম অ্যালিসন বেকার।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে
ডিফেন্স চেরা পাস দেন থিয়াগো সিলভা। তবে তা জালে জড়াতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়াস। ম্যাচের
৩১ মিনিটে শট কর্নার থেকে পাস বাড়ান রাফিনহা। তবে তা লুফে নেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল পান রাফিনহা। তার নেওয়া দুর্বল শট সহজেই গ্লোভসে
নেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় সার্বিয়া। তবে সেখান
থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় সার্বিয়া।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে
বাম দিক থেকে আক্রমণ সাজায় ব্রাজিল। ভিনিসিয়াস ডি বক্সে ঢুকলেও তা গোলমুখে শত নিতে
ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত গোল করতে ব্যর্থ হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল ও সার্বিয়া।
বিরতি থেকেই ৪৬
মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। গোলরক্ষককে এক পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ
রাফিনহা। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে নেইমারকে ফাউল করে সার্বিয়ার ডিফেন্ডার।
নেইমারের নেওয়া ফ্রি কিক সার্বিয়ার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহিত হয়। ম্যাচের ৫২
মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে যায় ভিনিসিয়াস।
তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে বাম প্রান্ত ধরে বল
নিয়ে ক্রস করে ভিনিসিয়াস। ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়েও তা জালে জরাতে ব্যর্থ হয় নেইমার।
গোল পেতে মরিয়া
হয়ে একের পর একে আক্রমণ চালাতে থাকে ব্রাজিল। তবে গোলের দেখা পায় না তারা। ম্যাচের
৫৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় সার্বিয়া। বাম দিক থেকে বাড়ানো বলে হেড করে ক্লিয়ার
করে অ্যালেক্স সান্দ্রো। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট করে অ্যালেক্স
সান্দ্রো। কিন্তু তা সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। এতে গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল।
তবে ম্যাচের ৬২
মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। বাম প্রান্ত থেকে শট করেন ভিনিসিয়াস। সেই শট
সার্ভিয়ার গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল যায় ডি বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা রিচার্লিসন। সেখান থেকে
শট করে বল জালে জড়ান তিনি। এতে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে
কাউন্টার অ্যাটাকে আবারও গোলের সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে ডি বক্সে বল নিয়ে গিয়ে শট করতে
ব্যর্থ হয় ভিনিসিয়াস।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে
ফের গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। বাম দিক থেকে ভিনিসিয়াসের ক্রস থেক বাইসাইকেল কিকে বল
জালে জড়ান প্রথম গোল করা সেই রিচার্লিসন। অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ব্রাজিলকে দুই গোলের লিড
এনে দেন তিনি।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে
রিচার্লিসনকে উঠিয়ে জেসুসকে নামান ব্রাজিলের কোচ তিতে। সেইসঙ্গে নেইমারকেও তুলে নেন
তিনি। নেইমারের পরিবর্তে মাঠে নামেন অ্যান্টোনি। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে
থেকে ক্যাসেমিরোর নেওয়া শট ক্রসবারের লেগে ফিরে এলে গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে
সাজানো আক্রমণ থেকে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন রদ্রিগেজ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের
ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে বাম প্রান্ত ধরে আক্রমণ সাজায় ব্রাজিল। সেখান থেকে ডানিলোর
ক্রস থেকে মার্টিনেল্লির হেড চলে যায় গোলপোস্টের বাইর দিয়ে। এরপর আর কোন গোল না হলে
২-০ গোল জিতে মাঠ ছাড়ে তিতের শীর্ষরা।