করোনা মহামারি মোকাবেলায় দেশের ৬৮ টি কারাগারে আটক বন্দিদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, করোনার কারণে বন্দিদের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় তাদের পরিবারের সাথে সপ্তাহে এক দিন ১০ মিনিট মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি ভিডিও কলের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ১২ তম ব্যাচ ডেপুটি জেলার এবং ৫৯ তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগার ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কারাগারে নিরাপদে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে কারাগারে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই ২০০ বছরের ইতিহাসের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে ৪ দিন সবজি-রুটি, দুই দিন খিচুড়ি, একদিন হালুয়া-রুটি দেয়া হচ্ছে যা যুগান্তকারী পরিবর্তন। বাংলা নববর্ষসহ বিশেষ দিবসগুলোতে উন্নতমানের খাবারের জন্য বন্দি প্রতি বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কারাগার এখন কেবল শাস্তি কার্যকর করার জায়গা নয়, বরং কারাবন্দিদেরকে বিভিন্ন প্রকার কর্মমুখী প্রেষণামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে দেয়ার ন্যায় গুরুদায়িত্ব পালন করছে কারাগারগুলো।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন, সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল, কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) সুরাইয়া আক্তার, গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।