Logo
শিরোনাম

দেশের প্রথম পাতাল রেলের কাজ শুরু শিগগির

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, নদ্দা, বাড্ডা ছুঁয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ছুটবে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। এই অংশের দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। সব ঠিক থাকলে ডিপো নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগামী জুন মাসে। এবার প্রকল্প এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব থাকবে পরিবেশের ওপর। যথাসম্ভব রোধ করা হবে শব্দ ও বায়ুদূষণ। ব্যবহার করা হবে না কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি। নির্মাণকাজ কমলাপুর থেকেই শুরু হবে বলে জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন, পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ছয়টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)। এর আওতায় মোট ১২৯ দশমিক ৯০১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উড়াল ৬৮ দশমিক ৭২৯ কিলোমিটার এবং পাতাল ৬১ দশমিক ১৭২ কিলোমিটার। দীর্ঘ রুটে ১০৫টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে উড়াল ৫২টি ও পাতাল ৫৩টি।

এমআরটি লাইন-১: এটি বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। এটি দুটি অংশে বিভক্ত। অংশ দুটি হলো- বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) এবং পূর্বাচল রুট (নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। বিমানবন্দর রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার এবং মোট পাতাল স্টেশন সংখ্যা ১২টি। পূর্বাচল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ অংশ উড়াল এবং মোট স্টেশন সংখ্যা ৯টি। নতুনবাজার ও নদ্দা স্টেশন বিমানবন্দর বুটের অংশ হিসেবে পাতাল নির্মিত হবে। নতুনবাজার স্টেশনে ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। এই ইন্টারচেঞ্জ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়া যাবে। উভয় রুটের বিস্তারিত স্ট্যাডি সার্ভে ও বেসিক নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ডিটেইলড নকশার কাজ চলমান। ডিটেইল্ড নকশা অগ্রগতি শতভাগ। নির্মাণকাজের সব দরপত্র দলিল প্রস্তুত কার্যক্রমের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এমআরটি-১ এর ডিপো ও ডিপো অ্যাক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী মৌজায় ৯২ দশমিক ৯৭২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এমআরটি রুট-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (সিভিল, ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড ইউটিলিটি) মো. মাহবুব উল আলম জাগো নিউজকে বলেন, দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজ শুরুর শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। চলতি বছরের জুন মাসে কমলাপুর থেকে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে পাতাল মেট্রোরেলের খননকাজ শুরু করতে পারবো। এই লক্ষ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণের আগে যেসব কাজ করতে হয় তার সবই শেষ পর্যায়ে।

ডিএমটিসিএল জানায়, নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধানের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। ডিপোর ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্যাকেজের কারিগরি দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাইকা সম্মতি দিয়েছে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোট, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে।

রুট: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত।

প্রস্তাবিত স্টেশন: বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুনবাজার, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর ও কুড়িল, বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল টার্মিনাল।

ডিএমটিসিএল জানায়, মেট্রোরেল সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বিধায় কোনো ধরনের জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানি ব্যবহৃত হবে না। ফলে বায়ুদূষণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেট্রোরেল অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করবে বিধায় ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার বহুল সংখ্যায় কমে জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস পাবে। এতে বায়ুদূষণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যাবে। মেট্রোরেলের রেলওয়ে ট্র্যাকের নিচে মাস স্প্রিং সিস্টেম (এমসিসি) থাকবে। কন্সট্রাকশন উইলডিডি রেল ব্যবহার করা হবে। উড়াল মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের উভয় পাশে শব্দ প্রতিবন্ধক দেওয়াল থাকবে এবং পাতাল মেট্রোরেলের টানেল সংলগ্ন মাটি শব্দ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। ফলে মেট্রোরেলে শব্দ ও কম্পন দূষণ মাত্রা মানদণ্ড সীমার অনেক নিচে থাকবে। সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে না, বরং পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক (এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ সেফটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের খননকাজ শুরু হবে সহসাই। আমরা পরিবেশগত বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে খনন, ধুলোবালি ও নির্মাণকাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা দুর্ভোগে না পড়েন। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকবে যাতে বায়ুদূষণ না হয়। বর্তমানে ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা কত, প্রকল্পের কাজ শুরুর পরে কত হবে- বিষয়গুলো নিয়ে নানা ধরনের ছক কষছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকবে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে স্থানীয়রা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন এবং ঢাকার বায়ুমান যেন ঠিক থাকে।

উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা ধুলাসহ নানা ধরনের দুর্ভোগে পড়েছেন। এমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এমআরটি-৬ এর দায়িত্বে আমি নেই। তবে আমি বলতে পারি এমআরটি-১ প্রকল্পে ১৬ কিলোমিটারের বেশি পাতাল মেট্রো। সুতরাং এখানে সমস্যা হবে না। যেখানে উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ হবে সেই অংশেও জনবসতি কম। তারপরও পরিবেশ ও মানুষের প্রতিবন্ধকতা যেন না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রকল্পের কারণে ধুলোবালি, দূষণ ও মানুষের স্বাস্থ্যগত দিক যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর