Logo
শিরোনাম

ঢাকা লিট ফেস্টের পর্দা উঠছে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তিন বছর পর শুরু হচ্ছে দেশ-বিদেশের সাহিত্যিকদের মিলনমেলা ঢাকা লিটারারি ফেস্টিভ্যালের (লিট ফেস্ট) দশম আসর। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী লিট ফেস্ট চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

ঢাকা লিট ফেস্টের এবারের আসরে যোগ দেবেন ২০২১ সালে নোবেল পুরস্কারজয়ী তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ২০২২ সালের বুকারজয়ী দুই কথাশিল্পী গীতাঞ্জলী শ্রী ও শেহান কারুনাতিলাকা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার বিজয়ী, লেখকরা বিভিন্ন পর্বে যোগ দেবেন। আলোচনা হবে ১৭৫টির বেশি পর্বে। এ আয়োজনে উপস্থিত হবেন পাঁচ মহাদেশের পাঁচ শতাধিক শিল্পী, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ ও বক্তা।

সকাল ১০টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আবদুলরাজাক গুরনাহ ও অমিতাভ ঘোষ লিট ফেস্টের উদ্বোধন করবেন। এ সময় উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বেলা সোয়া ১২টা থেকে এক ঘণ্টার একটি পর্বে একই মিলনায়তনে অংশ নেবেন সোমালিয়ার ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন ফারাহ ও বুকারজয়ী দুই কথাশিল্পী গীতাঞ্জলী শ্রী ও শেহান কারুনাতিলাকা। একই সময় মুক্তিযুদ্ধের ৫০ : সুবর্ণজয়ন্তীর ইতিহাসের দর্পণে বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নেবেন কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ, আবদুল মান্নান, মিনার মনসুর ও নাসির আলী মামুন।

দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠান হবে। একই সময় কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এভ্রিথিং চেইঞ্জ শীর্ষক এক আলোচনাপর্বে অংশ নেবেন আবির হক ও কায়সার হক। আরেকটি পর্বে আউট অব প্রিন্ট শীর্ষক আয়োজনে অংশ নেবেন অ্যালেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেল, প্রকাশক ও গবেষক মাহরুখ মহিউদ্দীন, বারবার এপ্লার ও চার্লস এসপ্রে।

সন্ধ্যায় বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয় পরিবেশন করবে বাংলা সংগীত। রাত ৮টা পর্যন্ত নজরুল মঞ্চে চলচ্চিত্র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন, শিল্পী শিবু কুমার শীল ও অন্যরা কথা বলবেন জনপ্রিয়তা পাওয়া হাওয়া চলচ্চিত্রের গান সাদা সাদা কালা কালা প্রসঙ্গে।

নিউজ ট্যাগ: ঢাকা লিট ফেস্ট

আরও খবর

একেক শিশুর পছন্দ একেক ধরনের বই

শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রাজনৈতিক সমঝোতার উদ্যোগ নেবে না ইসি: হাবিবুল আউয়াল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দরজা সব সময় খোলা, কেউ এলে সহযোগিতা করা হবে। ভোটে অংশ নিতে উদাত্ত আহ্বান থাকবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতার কোনও উদ্যোগ নেবে না ইসি। সংকট নিরসন করতে হবে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।’ রবিবার (১২ মার্চ) বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি জানান, ওনারা (হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল) আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে, ফ্রুটফুল হবে। আমরা প্রিপারেশনের কথা জানিয়েছি। আমরা ফুললি প্রিপেয়ার্ড। আমরাও চাচ্ছি অংশগ্রহণমূলক হোক, কনটেস্টেড হোক।

রাজনৈতিক সমঝোতায় ইসির উদ্যোগের বিষয়টিও জানতে চান প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে সিইসি বলেন, আমাদের দায়িত্বের মধ্যে ওনারা জানতে চেয়েছে আমরা রাজনৈতিক দলের সমঝোতার সৃষ্টি করতে পারি কিনা। আমরা বলেছি, সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে কন্সট্যান্টলি বলে যাচ্ছি নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন।

তাহলে এটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হবে এবং লেজিটেমেসিটা বাড়বে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সে লক্ষ্যে আমরা আগেও যেভাবে সব দলকে আহ্বান করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমাদের সে ইচ্ছেটা জানাচ্ছি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো নির্বাচনটা যেন অবাধ, সুষ্ঠু হয়। আমরা আবেদন করবো, আস্থা রাখুন। দেখুন, নির্বাচনটা কেমন হয়।

তিনি জানান, সব দল যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচনের ফলাফল অনেক ভালো, জনগণের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নেবো না। এটা পলিটিক্যাল ইস্যু। পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর মধ্যে সে লক্ষ্যে কোনও সংকট যদি থেকে থাকে, তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে নিরসন করবে। আমরা মাঝখানে কোনও ব্রোকারেজ করবো না, করতে পারবো না।

দলগুলোর জন্যে ইসির দরজা খোলা বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, এভাবে ওপেনলি আহ্বান জানিয়ে যাবো। আমাদের দরজা খোলা আছে, কোনও পার্টি যদি এসে অংশ গ্রহণ করতে চায়, আমাদের সহযোগিতা নিতে চায়, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি, আমাদের তরফ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার করে যাবো।


আরও খবর



‘অগ্নিঝরা মার্চ’ শুরু আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহান স্বাধীনতার মাস মার্চ। বাঙালির স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার অর্জনের অগ্নিঝরা মাস।

মার্চের প্রথম দিন আজ  বুধবার। এদিন বাঙালির রাজনৈতিক আন্দোলন পরিণতির দিকে যায় ১৯৭১ সালে। ওই বছরের মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতি বিজড়িত ১৯৭১-এর এই মার্চ মাস, একইসঙ্গে গৌরব ও অর্জনেরও মাস এই মার্চ।

একাত্তরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ। সারা দেশই তখন অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এ সময় তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। ইয়াহিয়া খানের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক খেলার মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে হাজারো মানুষ পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।

সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো স্লোগান দেন, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বাণী হোটেলেই বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাইরে চলছিল বিক্ষুব্ধ বাঙালির কঠোর কর্মসূচির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু ২ ও ৩ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক এবং ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেন।

সেই শুরু। এরপর ১ মার্চ পেরিয়ে ২ মার্চ। একে একে পার হয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ২৫টি দিন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়, শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এই পথ ধরে বাংলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে একটি স্বাধীন দেশগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম প্রহরে (রাত ১২.০১ মিনিটে) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত শিখা চিরন্তনে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক বীরত্বপূর্ণ ঘটনাবলি স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বিকাল ৩টায় তাহের মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

নিউজ ট্যাগ: অগ্নিঝরা মার্চ

আরও খবর



যারা দেশই চায়নি তারাই আবার ক্ষমতায় যেতে চায় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবিসহ বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া।

রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, তারা (বিএনপি) এর আগে ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, তারা সেই সকল স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় গোটা বিশ্ব লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসব সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। আগামীতে যাতে এই দেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সভায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২৭ মার্চ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ। ভর্তি চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

রোববার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৩৫০ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত সব মূল সনদপত্রগুলো যাচাই করবেন এবং মেডিকেল বোর্ড ভর্তির পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। যার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের সাময়িকভাবে ভর্তি করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া আগামী ১৪ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। টেলিটক সীমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা ফি দিয়ে মোবাইলেই এই আবেদন করা যাবে।


আরও খবর

রাবি ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রিভিউ খারিজ: অধ্যাপক হত্যায় দুই জনের ফাঁসির রায় বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ফলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে তার আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আর যথারীতি যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজাভোগ করতে হবে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন রাখেন আদালত।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।  এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমাদের এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধুমাত্র প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব না। 

আমাদের এও বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আব্দুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার জন্য ড. মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। 

১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত সালাম রিভিউ আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর শেষ হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি।


আরও খবর