ধরলা নদীর পানি
লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ধরলা নদীর পানি ৩১ মিটার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। এ নদীর পানির বিপদসীমা হলো ৩১ মিটার ৯ সেন্টিমিটার।
তবে তিস্তা নদীর
পানি দুপুর পর্যন্ত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে
বিপদসীমা ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে কমে ৮ সেন্টিমিটার নিচ
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
ধরলা নদীর পানি
বিপদসীমা অতিক্রম করায় লালমনিরহাট সদর উপজেলারে মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী, আদিতমারী
উপজেলার বড়বাড়ী, হাতীবান্ধার গড্ডিমারি, সানিয়াযান, সিন্দুনা, ডাউয়াবাড়ি, আদিতমারির
মহিষখোচা ইউনিয়নের প্রায় ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বসতভিটায় বন্যার পানি
ঢুকে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারি গ্রাম।
ফলিমারি গ্রামের
পানিবন্দী নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ধরলা নদীর পানি তাদের বাড়ি-ঘরে
প্রবেশ করছে। গ্রামের শতাধিক বসতভিটায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক বাড়িতে ৩-৪ ফিট
পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রামের রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা কলাগাছের
ভেলা ও নৌকায় যাতায়াত করছেন। ধরলা নদীর পানি আরও বাড়ছে।
মোগলহাট ইউপি
সদস্য জোনাব আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ পানিবন্দী লোকজনের খোঁজখবর রাখছেন। ঝুঁকিপূর্ণ
এলাকায় পানিবন্দী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আসার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি
যেভাবে বাড়ছে তাতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে তিনি জানান।
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধিতে তার ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী লোকজনের তালিকা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এই ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।