নারী এশিয়া
কাপে থাইল্যান্ডকে ৮২ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটের বিশাল এক জয়
তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
শনিবার সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে টস ভাগ্যটা সঙ্গ দেয়নি বাংলাদেশ অধিনায়ক
নিগারকে। টস জিতে থাইল্যান্ড নেয় ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। তবে সে সিদ্ধান্তটাকে মোটেও
‘ভালো’ মনে হতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা।
থাই মেয়েদের গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৮২ রানেই।
থাইল্যান্ড
অবশ্য শুরুটা করেছিল বেশ দেখে শুনে। তবে বাংলাদেশি বোলাররা একটু পরই চড়াও হন তাদের
ওপর। পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট খোয়ায় থাইরা। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আরও একটা। এরপর পান্নিতা
মায়া ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে খানিকটা অস্বস্তিতেই রেখেছিলেন।
তবে দলীয় ৫৪
রানে তিনি ফেরার পরই ভেঙে পড়ে থাইল্যান্ডের ইনিংস। ৩ ওভারের ব্যবধানে ৫৪-২ থেকে ৬১-৭
হয়ে যায় থাইদের স্কোরকার্ড। এরপরও যে থাইদের ইনিংসটা ২০ ওভার পর্যন্ত গিয়েছে, তার কৃতিত্বটা
পুরো সরনারিন তিপোচ আর রোসেনান কানোহের। দুজনের ১১ ও ১০ রানের দুই ইনিংসে শেষমেশ স্কোরটা
৮২ পর্যন্ত নিয়ে যায় থাইল্যান্ড।
রুমানা আহমেদ
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদা, সানজিদা ও
সোহেলী।
ব্যাট হাতে
শেষ কিছু দিন ধরেই সময়টা বেশ ভালো কাটছে ওপেনার ফারজানা হকের, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের
ফাইনালেও পেয়েছিলেন দারুণ এক ফিফটি। সে ফর্মটা এশিয়া কাপেও টেনে এনেছেন তিনি। সঙ্গে
পেয়েছেন ওপেনার শামিমা সুলতানাকেও, তার ব্যাটও হাসল আজ। মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে
নেমে দুজন শুরু থেকেই চড়াও হয়েছিলেন থাই বোলারদের ওপর। তাতে ১০ উইকেটের জয়টাই নিয়তি
বলে মনে হচ্ছিল স্বাগতিকদের।
তবে জয় থেকে
বাংলাদেশ যখন হাতছোঁয়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে, তখনই বিদায় নেন শামিমা। থিপাচা পুথাওংয়ের বলে
সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন, ৩০ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন তিনি। বাকি পথটা অবশ্য বাংলাদেশ
পাড়ি দিয়েছে নির্বিঘ্নেই। ১১.৪ ওভারেই পেরিয়ে গেছে থাইদের দেওয়া ৮৩ রানের লক্ষ্য। ৯
উইকেটের জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করেন নিগাররা।