টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
ফের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২০১০ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল
ইংলিশরা। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়। রোববার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড
ওভালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি
বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
নিয়মিত বিরতিতে
উইকেট পতনের কারণে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা। পাকিস্তানের হয়ে ২৮ বলে সর্বোচ্চ
৩৮ রান করেন শান মাসুদ। ২৮ বলে মাত্র ৩২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। ১৪ বলে ২০
রান করেন শাদাব খান।
টার্গেট তাড়া
করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। দলের জয়ে
৪৮ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন বেন স্টোকস। এছাড়া ১৭ বলে ২৬ রান করেন অধিনায়ক জস বাটলার।
১৩৮ রান করলেই শিরোপা নিশ্চিত। এমন মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস
রউফের গতির মুখে পড়ে ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড শিবিরে
শুরুতেই আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে অ্যালেক্স হেলসকে
বোল্ড করে ফেরান তিনি। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে ৪৭ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী
ইনিংস খেলা হেলসকে এদিন মাত্র ১ রানে সাজঘরে পাঠান আফ্রিদি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফিল
স্টলকে আউট করেন হারিস রউফ। দলীয় ৩২ রানে ৯ বলে ১০ রান করে ফেরেন তিনি।
জয়ের লক্ষ্যে
শুরু থেকে ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড অধিনায়ককে আউট করেন হারিস রউফ।
তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৭ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ২৬ রান করে ফেরেন
বাটলার। তার বিদায়ে ৫.৩ ওভারে ৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
এরপর হ্যারি ব্রুককে
সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েন বেন স্টোকস। ব্রুককে আউট করে এই জুটি
ভাঙেন শাদাব খান। ২৩ বলে ২০ রান করে ফেরেন হ্যারি ব্রুক। তার বিদায়ে ৮৪ রানে ৪ উইকেট
হারায় ইংল্যান্ড।
১৩তম ওভারে শাদাব
খানের বলে লংঅফে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে শাহিন আফ্রিদির হাতে ক্যাচ তুলে দেন হ্যারি
ব্রুক। বলটি দেখে শুনে তালুবন্দি করতে গিয়ে দুই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন আফ্রিদি।
তখনই চোটাক্রান্ত
হন পাকিস্তানের এই তারকা পেসার। ক্যাচটি নিয়েই মাঠে শুয়ে পড়েন। পরে তাকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে
মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। এই চোট নিয়ে ফের মাঠে নেমে বোলিং করতে গিয়ে ওভার শেষ করতে পারেননি
আফ্রিদি। চোট নিয়ে ফের মাঠ ছাড়েন।