Logo
শিরোনাম

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া থাকবে না ভোগান্তি, চলবে ২১ ফেরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১২১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চলতি বছরের ২৫ জুন চালু হয়েছে দেশবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু।  কোনো রকম সিরিয়ালে আটকে না থেকে সরাসরি এসে ফেরিতে উঠবে যানবাহন। একইসঙ্গে ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ২১টি ফেরি চলাচল করবে। এতে করে এবারই প্রথম কোনো রকম দুর্ভোগ ও অপেক্ষা ছাড়াই ঈদযাত্রা সম্পন্ন করতে পারবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ঘাট ব্যবস্থাপনার অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভা শেষে  এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সভা শেষে আরও জানানো  যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ২১টি ফেরি চলাচল করা হবে। ঈদে যেন কোনো সমস্যা না হয়। প্রয়োজন হলে আরও একটি ফেরি বাড়ানো হবে।

বিগত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৫ জুন দক্ষিণবঙ্গের অপর নৌপথ মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পাল্টে যায় দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র। আগে দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতো যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়ালে। আর এখন যানবাহনের অপেক্ষায় থাকে ফেরি। ফলে এবারের ঈদ যাত্রায় কোনো ধরনের ভোগান্তি থাকবে না বলে ধরনা সংশ্লিষ্টদের।

সরজমিনে মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঢাকামুখী কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও পশুবাহী ট্রাক পারাপার করাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে দৌলতদিয়া মহাসড়কে শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন কমে যাওয়ায় লঞ্চে আগের মত যাত্রীদের চাপ নেই।

দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে চলাচলকারী বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এখন দৌলতদিয়া ঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই। আশা করছি, ঈদেও কোনো ভোগান্তি হবে না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কারণে দৌলতদিয়ার ভোগান্তি দূর হয়েছে। আর আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছেন।

মধুখালী থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ভোগান্তির অন্যনাম ছিল দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুট। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে একটি দিনেও সরাসরি এসে ফেরিতে উঠতে পারি নাই। ৫ থেকে ২০ ঘণ্টা, আবার কোনো কোনো সময় দিনের পর দিন দৌলতদিয়ায় ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। তবে এখন আর কষ্ট করতে হচ্ছে না। দ্রুত ফেরির নাগাল পাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর কারণে তাদের মতো ট্রাক চালকদের খুব সুবিধা হয়েছে। ঈদে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে ঢাকাগামী গরুবাহী ট্রাকের চালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বিগত বছরগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌলতদিয়া আটকে থেকে অনেক সময় গরমে গরু অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু এবার সরাসরি এসে ফেরি পেয়েছি।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতি গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীরা যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হয়, সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারি করা হবে। এছাড়া মহাসড়কে কোনো প্রকার ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ মোস্তফা মুন্সি, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর