শুরুতে উইকেট
হারিয়ে পড়ল বিপদে। খাদের কিনারায় যাওয়ার পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
তিনি ফিরতে কিছুটা কমে এলো আশা। এরপর শেষটা করলেন রাজাপক্ষে। তাদের কল্যাণে লড়াই করার
মতো সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
রোববার দুবাই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১
রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি লঙ্কানদের।
ইনিংসের তৃতীয় বলে কোনো রান না করেই নাসিম শাহর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান কুশল
মেন্ডিস। আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
হারিস রউফকে তুলে
মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি, মিড অফে দাঁড়ানো বাবর আজম পেছনের দিকে দৌড়ে ক্যাচ নেন
দারুণভাবে। ১১ বল খেলে ৮ রান করেন নিশাঙ্কা। এ দুজনের বিদায়ের পর ইনিংস গড়ার দায়িত্ব
নেন ডি সিলভা।
কিন্তু তাকে সঙ্গ
দিতে পারেননি দানুস্কা গুনাতিলাকাও। রউফের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি, ৪ বল
খেলে ১ রান করে। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। এরপরও
ভাগ্য বদলাচ্ছিল না তাদের।
একপ্রান্তে আগলে
থাকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন ইফতেখার আহমেদের বলে। বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার
আগে ৪ চারে ২১ বলে ২৮ রান করেন তিনি। ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন
শানাকাও।
এরপরই শুরু হয়
শ্রীলঙ্কার পাল্টা আক্রমণ। দারুণ সব শটে বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন হাসারাঙ্গা। কিন্তু
হারিস রউফের বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হতে হয় তাকে। এর
আগেই অবশ্য টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকান হাসারাঙ্গা, সব মিলিয়ে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে
৩৬ রান করেন তিনি।
তার বিদায়ের পরও
রানের গতি থামতে দেননি রাজাপক্ষে। লঙ্কানদের রান দেড়শ ছাড়ানোর মূল কৃতিত্বটা তার। শেষ
পর্যন্ত অপরাজিত থেকে এই ব্যাটার ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ বলে করেন ৭১ রান। পাকিস্তানের
পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ।