মুমিনের প্রতিটি
কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়,
তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। রাতে ঘুমানোর আগে কিছু করণীয়-বর্জনীয় কাজ রয়েছে।
* দোয়া পড়া
রাসুল (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি শোয়ার পর আল্লাহর নাম নেয় না,
তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে লাঞ্ছনা নেমে আসবে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৫৬)
হাদিস শরিফে ঘুমানোর
আগে কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সব দোয়া পড়তে না পারলেও ছোট এই দোয়াটি পড়া যায় : ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’,
অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং
তোমারই দয়ায় আমি পুনর্জাগ্রত হব। ’
* সুরা ইখলাস
ও নাস-ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া
আয়েশা (রা.) বলেন,
‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায়
যেতেন, তখন দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর মাথা
ও চেহারা থেকে শুরু করে যত দূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বোলাতেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
* আয়াতুল কুরসি
পড়া
রাসুল (সা.) বলেন,
‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল
কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল
পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
* সুরা বাকারার
শেষ দুই আয়াত পড়া
কোনো ব্যক্তি
ঘুমানোর আগে এ দুই আয়াত পড়লে তা তাদের গোটা রাতের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে। রাসুল
(সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, তবে এটিই
তার জন্য যথেষ্ট। (বুখারি, হাদিস : ৫০৪০)
* সুরা মুলক
পড়া
রাসুল (সা.) বলেছেন,
কোরআনের মধ্যে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ
করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)। (তিরমিজি, হাদিস
: ২৮৯১)
আয়েশা (রা.) থেকে
বর্ণিত, প্রতি রাতে নবী (সা.) বিছানায় যাওয়ার আগে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস
পাঠ করে দুহাত একত্র করে তাতে ফুঁক দিতেন এবং যত দূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বোলাতেন।
মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখভাগের ওপর হাত বোলাতেন। তিনি এভাবে তিনবার
করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)