Logo
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শ্যালক-দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মারুফ ও বায়জিদ তালুকদার নামে শ্যালক-দুলাভাই নিহত হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মারুফ (৩২) বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার চালতাবুনিয়া গ্রামের আবু বকর মিয়ার ছেলে এবং বায়জিদ তালুকদার (১৮) একই উপজেলার ভুয়াতলা গ্রামের আলমগীর তালুকদারের ছেলে।

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক খান শরিফুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন মারুফ ও বায়জিদ। পথে ঘন কুয়াশার কারণে মোটরসাইকেলটি রাস্তার সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং হাইওয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩

শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২




‘যুদ্ধবিরতিই পারে ইউক্রেনে সংঘাতের অবসান ঘটাতে’

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের সংকট সমাধানের জন্য ইউরোপ যে সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তা কাজ করছে না এবং সংঘাত শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হতে পারে। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো এসভিটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, প্রথম লক্ষ্য হলো মানুষ হত্যা বন্ধ করা, যার অর্থ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং এর বেশি কিছু নয়। সিজ্জার্তোর মতে, ইইউ নিষেধাজ্ঞাগুলো সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইউক্রেনের সংকট সমাধানের জন্য ইউরোপ যে সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তা কাজ করছে না এবং সংঘাত শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হতে পারে।

ইউক্রেনের সংকট সমাধানের জন্য ইউরোপ যে সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তা কাজ করছে না এবং সংঘাত শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হতে পারে।

তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে ১০টি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ চালু করেছি। এটা কি আমাদের একটি সমাধানের (সংঘাতের) কাছাকাছি নিয়ে এসেছে? না। এটা কি রাশিয়াকে হাঁটুর কাছে নিয়ে এসেছে? না। এটা কি আমাদের ক্ষতি করেছে? হ্যাঁ। আমি মনে করি, আমরা ইউরোপে যে সমাধান খুঁজতে চাইছি তা কাজ করেনি কারণ আমরা যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছি।'

কেন হাঙ্গেরি কিয়েভে অস্ত্র পাঠাচ্ছে না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এমন একটি দেশ যার প্রতিবেশী ইউক্রেন এবং আমরা চাই না আরও বেশি মানুষ মারা যাক। এজন্য আমরা এটি বন্ধ করার জন্য কাজ করছি। আমরা অস্ত্র পাঠাই না। আমরা শান্তির জন্য কথা বলছি।'


আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগের দুটি শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে। এ-সংক্রান্ত আবেদনে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

রোববার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

খালেদার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এ নিয়ে নির্বাহী আদেশে সাতবারের মতো খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী এ দরখাস্ত করতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, এ দরখাস্ত তারা প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করে আসছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ষষ্ঠবারের মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তারা আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের মতো, আগের যে দুটো শর্ত ছিল, সেই দুটো শর্ত সাপেক্ষে আবারও মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করছি।

শর্ত দুটি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন মানে তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না, তা নয়। তিনি হাসপাতালেও যেতে পারবেন।

আর তিনি (খালেদা জিয়া) এ সময়ে বিদেশে গমন করতে পারবেন না। এ দুই শর্ত সাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ আরও ছয় মাস স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, আমরা মতামত দিয়েছি। আমাদের মতামতের ভিত্তিতেই গত কয়েকবার এটা (দণ্ড স্থগিত) কার্যকর করা হয়েছে। আশা করি, এ মতামতের ভিত্তিতেই এবারও সেটা কার্যকর হবে।

তিনি বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথা বারবার বলেছি। দরখাস্তে যেটা বলা হচ্ছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানে রাজনীতির কথাটা আসাটা আমরা মনে হয় প্রয়োজন নেই।

একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না আমি সেটা ডিকটেশন দিয়ে দেব না। কিন্তু এটা সবাই স্বীকার করছেন যে, তিনি অসুস্থ।

শর্তে নেই কিছুদিন ধরে তো এটা (রাজনীতি করা) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আইন পড়েন। আইনে কী আছে, আইনই বলে দিবে। আমার এখানে স্পষ্টীকরণের কিছু নেই। একটা বাস্তবতা আপনাদের মেনে নিতে হবে। মুক্তির আবেদনের মধ্যে যে কথাটা প্রথম থেকে রয়েছে- তা হলো তিনি অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর।

আমরা আমাদের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠাবেন বলেন তিনি।

সাতবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে কী রাজনীতি রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা।

আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিএনপি তাদের বলেছেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। ইইউ রাষ্ট্রদূতরা জানিয়েছেন, তারা আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে আমার কী বলার আছে। জনগণ যেটা চায়, সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না। এটাই হলো সারা বাংলাদেশের অবস্থান।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনের দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি ব্লেয়ার। শনিবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত।

বৈঠকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, শেখ হাসিনা এবং টনি ব্লেয়ার উভয়েই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন। শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বিশ্বের নেতা এবং সরকারকে সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের মিশনের প্রশংসা করেন।

টনি ব্লেয়ার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারা খেলাধুলা বিশেষ করে ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের এখন বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।


আরও খবর



ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে মো. আল আমিন নামের এক ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠেছে ওই ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জামাল হোসেন জাবুর বিরদ্ধে। এতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুরতর আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত আল আমিন ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক ও একই এলাকার খাসেরহাট বাজারের ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী। রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন জাবুর ব্যক্তিগত অফিসে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

শম্ভুপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন জাবু তাকে মোবাইল করে কথা আছে বলে তার কার্যালয়ে ডেকে মারধর করেছেন বলে আভিযোগ আহত ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আল আমিনের। এ সময় তাকে ৪-৫ জন মিলে রড দিয়ে পিটিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন জাবুর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভড না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। থানায় এরকম কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ভোলা-৩ আসনে আ.লীগের হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এখন থেকেই ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসন চষে বেড়াচ্ছেন বিবিএস গ্রুপ ও নাহী গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছেন নির্বাচনের পথে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করছেন গণসংযোগ। নির্বাচনী এলাকা লালমোহন-তজুমদ্দিনের সর্বত্র আলোচনায়  ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার।

জানা যায়, ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার লালমোহন-তজুমদ্দিনের নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদানসহ গরিব ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের ত্রাণ প্রদান, বেকারত্ব দূরীকরণে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান, দরিদ্রদের মধ্যে টিউবওয়েল ও টিন বিতরণ, ঘর নির্মাণ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার লালমোহন-তজুমদ্দিনকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান। এ দুই উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও খেলাধুলার উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরী, নদীভাঙন রোধ, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তৃতি প্রভৃতি নিয়ে তার রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। 

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি) লালমোহন-তজুমদ্দিনে তার ব্যবসায়িক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার প্রার্থিতা ঘোষণা দেয়ার পর থেকে লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সাবেক ভিপি, ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের গণমানুষের নেতা। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরিপের মাধ্যমে ভোলা-৩ আসনে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিতভাবে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের বিকল্প নেই বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এ আসনে তার বিকল্প নেই। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টিআর কাবিখা বিক্রি ও নিয়োগ বাণিজ্যের করবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সততার মূল্যায়ন করবেন।

তারা আরও বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ভোলা-৩ আসনে (লালমোহন-তজুমদ্দিন) একমাত্র নৌকার উপযুক্ত মাঝি। আমরা তাকেই নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।

এ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি) বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো জনগণের সেবা করবো। মানুষের জন্য কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য। আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। তিনি আরও বলেন, নৌকায় ভোট দিলেই দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে, দেশে উন্নয়ন হয়। নৌকার ওপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ এই আওয়ামী লীগের নৌকা বিজয়ী হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। সেজন্য সামনের নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দিয়ে আবারো বিজয়ী করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর