টাঙ্গাইলের মধুপুরে
শেফালি বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী গোলাপ হোসেন, সতিন হাসনাসহ (৪৮) বেশ কয়েকজনকে থানায়
নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮
জুন) সকালে উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের লোকদেও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান,
গোলাপ হোসেন ১২-১৩টি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে হাসনা তার প্রথম স্ত্রী ও শেফালি পঞ্চম
স্ত্রী। বাকিরা কোথায় আছে জানা নেই। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত এক সপ্তাহ আগে হাসনাকে
তালাক দেন গোপাল। সালিশ-বৈঠকে তার সব পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় হাসনা স্বামীর
একটি ঘর বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। ঘরটি পাঁচ হাজার টাকায় শেফালি রেখে দিতে চাইলেও তাতে
দ্বিমত পোষণ করেন।
এ নিয়ে সোমবার
সন্ধ্যায় দুই সতিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসনাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন
শেফালি। এরপর হাসনা ও তার সন্তান বাড়ি থেকে গিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত যাপন করেন।
মঙ্গলবার সকালে হাসনার সন্তান বাবাকে ডাকতে বাড়িতে গেলে শেফালির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে
পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
গোলাবাড়ি ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবলু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিকভাবে দাফন করা হবে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় স্বামী ও সতীনসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।