Logo
শিরোনাম

হজ্জ : গুরুত্ব ও ফযীলত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

হজ ইসলামের অবশ্য করণীয় বিধানসমূহের একটি। কোরআনে কারিমের বহু আয়াত এবং অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে হজের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অধিকাংশ আলেমের মতে হিজরি তৃতীয় বছর সুরা আলে ইমরানের একটি আয়াতের মাধ্যমে হজ ফরজ করা হয়। ইবনে কাসির

হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও যারা শরিয়তসম্মত অপারগতা ছাড়া পার্থিব স্বার্থ ও অলসতাবশত হজপালন করে না, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সম্পর্কে অত্যন্ত মন্দ পরিণতির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ইসলামের বিধান হলো, শরিয়তসম্মত কারণে যদি কারও হজে যেতে দেরি হয় এবং নিজে হজ করার ব্যাপারে আশা না থাকে, তাহলে (মৃত্যুর আগে) বদলি হজের অসিয়ত অবশ্যই করতে হবে। আর যে ব্যক্তি অলসতা বা অন্য কোনো বাহানা করে দেরি করল এবং মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গেল, তাকেও বদলি হজের অসিয়ত করে যেতে হবে এবং তওবা করতে হবে। তাতে হয়তো আল্লাহ মাফ করতে পারেন।

হজ নতুন কোনো বিষয় নয়। প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ হজপালন করে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে গিয়ে সর্বপ্রথম হজরত আদম (আ.) হজপালন করেন। সে সময় হজরত জিবরাইল (আ.) বলেছিলেন, আপনার আগমনের সাত হাজার বছর আগে থেকে ফেরেশতাদের জামাত বায়তুল্লাহ শরিফের তাওয়াফ করে আসছে। গোটা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ভারতবর্ষই এ অনুপম গৌরব বহন করছে যে, প্রথম হজ ভারতবর্ষ থেকে করা হয়েছে। নবী রাসুলরাও হজ আদায় করেছিলেন। কেবল হজরত হুদ (আ.) এবং হজরত সালেহ (আ.) হজ আদায় করতে পারেননি। জাহেলিয়াত যুগেও মানুষ হজপালন করত। তবে তারা ভ্রান্ত চিন্তাধারার আলোকে অহংকার ও মূর্খতাজনিত কিছু বিষয় হজের বিধানের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিল। শরিয়ত মুহাম্মদিতে এসবের সংস্কার ও সংশোধন করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ইবাদতকে অক্ষুণœ রাখা হয়েছে, যেন অতিপ্রাচীন এ ইবাদতটি স্থায়ীত্ব লাভ করে এবং আল্লাহর নিদর্শনসমূহের সম্মান ও মর্যাদা প্রকাশ পেতে থাকে।

হজের বহু ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে। এ সম্পর্কে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মাকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান হলো বেহেশত।’ সহিহ্ বোখারি : ১৭৭৩

মাবরূর হজ হচ্ছে সেই হজ, যাতে কোনো গোনাহ সংঘটিত হয়নি। কারও কারও মতে, মাকবুল (কবুল) হজকেই মাবরূর হজ বলা হয়। আবার কোনো কোনো আলেমের মতে, যে হজ লোক দেখানো ও আত্মপ্রচারণা থেকে মুক্ত সেটাই মাবরূর হজ। কেউ কেউ বলেন, যে হজের পর হজ আদায়কারী আর কোনো গোনাহে লিপ্ত হয় না, সে হজকেই মাবরূর হজ বলা হয়। হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেন, যে হজের পর দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি জন্মে এবং আখেরাতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সেটাই মাবরূর হজ।

হাদিস শরিফে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজপালন করবে এবং হজ সমাপনকালে স্ত্রী সহবাস কিংবা তৎসম্পর্কিত আলোচনা এবং কোনো প্রকার গোনাহের কাজে লিপ্ত হবে না, সে সদ্যজাত শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ সহিহ্ বোখারি : ১৫২১

বর্ণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, যদি কেউ একনিষ্ঠ নিয়তে হজপালন করে এবং ইহরাম বাঁধার সময় থেকে হজের যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ বর্জন করে চলে, আর কোনো প্রকার গোনাহের কাজে লিপ্ত না হয়, তাহলে এতে তার সমস্ত পাপমোচন হয়ে যায়। তবে কবিরা গোনাহ মাফ হওয়া সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে।

হজ একটি ফরজ ইবাদত, যা পালন করা সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর দায়িত্ব। কিন্তু আল্লাহর অপার অনুগ্রহ হলো, হজপালনের কারণে শুধু মানুষকে দায়মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে তা নয়; মানুষের সব পাপও ক্ষমা করে দেওয়া হচ্ছে এবং চিরস্থায়ী আনন্দ ও সুখ দ্বারা পুরস্কৃত করা হচ্ছে। সর্বোপরি নবী কারিম (সা.) হজকারীর জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।

আল্লাহর বিশাল অনুগ্রহ যে, তিনি একটি দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে আমাদের এত বিপুল পরিমাণ নেকি দান করেন। সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেয়িরা নানাবিধ কর্মব্যস্ততা সত্ত্বেও একাধিকবার হজপালন করেছেন। কেউ কেউ তো প্রত্যেক বছরই হজপালন করতেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) জীবনে ৫৫ বার হজপালন করেছিলেন। তবে অধিক পরিমাণে নফল হজপালনের ক্ষেত্রে শর্ত হলো, অন্য ফরজ পালনে যেন ত্রুটি না হয়।

হজ উপলক্ষে আরাফাতের ময়দানে হাজিরা যখন একত্রিত হয়, তখন আল্লাহতায়ালা প্রথম আকাশে এসে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করে বলেন, আমার বান্দারা দূর-দূরান্ত থেকে এলোমেলো চুল নিয়ে এসেছে, তারা রহমতের ভিখারী। হে বান্দারা! তোমাদের গোনাহ যদি জমিনের ধূলিকণা পরিমাণ হয় কিংবা সমুদ্রের ফেনারাশি বরাবর হয় তবুও তা আমি মাফ করে দিলাম। প্রিয় বান্দারা! ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে তোমরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাও।’

হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! নারীদের জন্য কি জেহাদ আছে? তিনি উত্তরে বললেন, তাদের জন্য জেহাদ আছে, তবে তাতে যুদ্ধ নেই, আর তা হলো হজ ও ওমরাহ।’ ইবনে মাজাহ : ২৯০১

হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদিসে আছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরাফার দিন অপেক্ষা আর কোনোদিন আল্লাহতায়ালা তার এত বেশি বান্দাকে দোজখ থেকে মুক্তি দেন না।’ সহিহ্ মুসলিম : ৩৩৫৪


আরও খবর

আজ ঈদ

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর