পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন
পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১৯টি উপজেলায় সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে মাঠ প্রশাসন। এজন্য
সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত বিজিব ও র্যাব।
নির্বাচন কমিশনের
(ইসি) সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন জেলা প্রশাসন থেকে ভোটের আগে-পরে ১৯টি উপজেলায় সহিংসতার
আশঙ্কা করে সম্প্রতি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের চাহিদাপত্র দিলে ইসি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলেছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী মোতায়েনের ছক থেকে জানা গেছে, প্রতি উপজেলায় র্যাবের ২টি মোবাইল টিম ও একটি
স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন রয়েছে। বিজিবির মোবাইল টিম রয়েছে ২ প্লাটুন ও ১ প্লাটুন সদস্য
নিয়োজিত আছে স্ট্রাইকিং টিম হিসেবে। একই হারে কোস্ট গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে।
ওই ১৯টি উপজেলার
কোথাও অতিরিক্ত ২ প্লাটুন বিজিবি এবং কোথাও ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে
ইসি। এছাড়া র্যাবের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন থাকছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে বুধবার (০৪ জানিয়ারি) এ সংক্রান্ত পত্রটি পাঠিয়েছেন
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান। এতে অতিরিক্ত ফোর্স স্ট্রাইকিং
ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী
এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। কেন্দ্র পাহারায় পুলিশ,
আনসারের সমন্বয়ে নিয়োজিত রয়েছে ২২ জনের ফোর্স।
এছাড়া ভোটের এলাকায়
পুলিশ, আনসার ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের একটি করে টিম মোবাইল ফোর্স হিসেবে এবং প্রতি ইউপির
জন্য ১টি করে টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
ইতোমধ্যে চার
ধাপের ইউপি ভোট সম্পন্ন করেছে ইসি। ষষ্ঠ ধাপের ভোট হবে ৩১ জানুয়ারি। আর সপ্তম ধাপে
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
এ পর্যন্ত ইউপিতে ৫০ জনের মতো নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন শতাধিক।