কাতার বিশ্বকাপে
এবার এমন অনেক কিছুই দেখছেন ভ্রমণকারীরা, যা আগের কোনো বিশ্বকাপে দেখা যায়নি। মুসলিম
দেশ হওয়ায় স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিয়ার পান। ভ্রমণকারী নারী-পুরুষের জন্যও আছে
পোশাক পরিধানে কড়াকড়ি।
আইনের কড়াকড়িকে
বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশ খোলামেলা পোশাকে ফটোশুট করেছেন ক্রোয়েশিয়ার সাবেক বিশ্বসুন্দরী
ও ইনস্টাগ্রাম মডেল ইভানা নোল। তাঁকে বলা হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে আবেদনময়ী নারী।
একটু বেশিই আবেদনময়ী হতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তির শিকার হয়েছেন ক্রোয়েট
সুন্দরী।
বিশ্বকাপের আগেই
কাতারের ধর্মীয় রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য দর্শক ও ভ্রমণকারীদের আহ্বান
জানিয়েছিল ফিফা। অনুরোধ ছিল পোশাকের প্রতি সতর্ক থাকার। আরব দেশের নারীদের প্রতি নির্দেশ
ছিল সব সময়ই যেন মাথা ঢাকা থাকে স্কার্ফে এবং কোনোভাবেই যেন বক্ষ বিভাজনী দেখা না যায়।
অন্য দেশের নারীদের পোশাকের ব্যাপারে এতটা কড়াকড়ি না থাকলেও অন্তত কাঁধ থেকে নাভি পর্যন্ত
যেন ঢাকা থাকে এমন পোশাক পরার অনুরোধ জানিয়েছিল ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপে
নিজ দেশ ক্রোয়েশিয়ার খেলা দেখতে গিয়ে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন নোল। মরক্কোর বিপক্ষে
ম্যাচে কাতারের নিয়ম মেনে মাথা ঢাকলেও যথেষ্ট আঁটসাঁট পোশাক পরেছিলেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া।
ক্রোয়েশিয়ার পতাকার নকশায় ঢাকা পোশাকে দেখিয়েছেন নিজের দেশপ্রেম।
কিন্তু ম্যাচের
পরে কাতারের আইনকে পাত্তাই দেননি নোল। স্বদেশের পতাকার নকশা করা খোলামেলা সুইমস্যুট
পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেই ভিডিও পোস্ট হওয়ামাত্রই কাতার
পুলিশকে ট্যাগ করেছেন এক অনুসারী। আরেক অনুসারী লিখেছেন, ‘কাতারের ধর্ম
আর সংস্কৃতির প্রতি তোমার কোনো শ্রদ্ধাই নেই, জাহান্নামে যাও।’
কাতারের আইন অনুযায়ী
পোশাক নিয়ে বিতর্ক বা আইন অমান্য করা হলে গুনতে হবে বড় জরিমানা। হতে পারে জেলও। নোলের
ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেয় কাতার পুলিশ, সেটাই এখন দেখার!