Logo
শিরোনাম

কোভিড-১৯ : শিশুর জগত ও তাদের ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শিশুরা বাধাহীন। চলাফেরা, চিন্তা-চেতনায় অপ্রতিরোধ্য। পরিপূর্ণ উচ্ছলতায়। সীমানা নির্ধারণ বলাই বাহুল্য। এরা চঞ্চল, এরা পাখির মতো ডানা মেলে স্বপ্নের জগতে উড়বেই।

থমকে দিলো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। বিশ্ব্য ব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত মানবজীবন। এর থেকে বাঁচার জন্য মানবকলে উৎকণ্ঠা। আর এই মানবকল বা মানব জাতির বড় একটা অংশ হলো শিশুরা। এ মুহূর্তে শিশুরা ভুগছে মানসিক চাপে। স্কুল নেই, বন্ধুদের সাথে দেখা নেই, খেলা নেই, ঘরের চার দেয়াল ছাড়া কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।

মার্চ ০৮, ২০২০ ইং তারিখে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।  জনসমাগম এড়াতে ১৮ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর থেকে ছুটির মেয়াদ বাড়তে থাকে। দুর্ভাগ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসে আরও শক্তিশালী হয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নেয়া হয় বিভিন্ন পদক্ষেপ। বর্তমান এ পরিস্থিতিতে চলছে কঠোর লকডাউন। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও জুলাই ২০২১ সাল পর্যন্ত চলমান। এ পরিস্থিতিতে শিশুরা গৃহবন্দী। চিন্তার বিষয় দীর্ঘ সময় শিশুরা এ অবস্থায় থেকে তাদের মানসিক অবস্থা কী দাঁড়ায়? ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। ছোট একটি শিশু প্রায় দেড় বছর ধরে ঘরের বাইরে যাচ্ছে না। নেই কোন সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম নয়), সংস্কৃতি চর্চা। এর ফলে শিশুদের মনোজগতে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। গভীর উদ্বেগের বিষয়।

দীর্ঘদিনের আবদ্ধ অবস্থা শিশুর সকল ধরনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। একটি শিশুর ছবি আঁকা, নাচ, গান, আবৃত্তি চর্চা এসব মানসিক বিকাশের অংশ। এ পরিস্থিতিতে শিশুর সকল ধরনের বিকাশ, বুদ্ধির বিকাশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া শিশুর সময় কাটানোর জন্য দরকার আরেকটা শিশুর।

শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখার জন্য দেশের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জুম অ্যাপস, গুগল ক্লাসরুম, গুগল মিট, ওয়েবএক্স, ফেসবুক লাইভ, ইউটিউবের মতো বিভিন্ন সাইট ব্যবহার করে তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে ক্লাস করছে। কিন্তু শিশুরা দীর্ঘ সময় ধরে ডিভাইসের সামনে বসে ক্লাস করায় তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা। এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য শিশুদেরকে বেশি বেশি সময় দিতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বেশি সময় অনলাইনে ক্লাস করার কারণে অনেক শিশুর পিঠ, কোমর, চোখ ও ঘাড়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। আর অধিকাংশ সময় জুমে ক্লাস করা নিয়েও বিরক্ত হচ্ছে শিশুরা। মাঝে মধ্যে শোনা যায়, এ করোনাভাইরাস লাইফটা শেষ করে দিলো। আর ভালো লাগে না এসব। কবে, কখন স্কুলে যাবএ প্রশ্নই তাদের মনে। অভিভাবকরাও কিছু বলবেন তার উপায় কোথায়? কারণ প্রতিউত্তর তোমরা বাইরে যাও, চাকরি করো, কলিগদের সাথে দেখা হয়, গল্প করো...কিন্তু আমরা কোথায় যাবো??? একজন অভিভাবক হিসেবে আমারও জানার আগ্রহ সত্যিই ওরা কোথায় যাবে, কী করবে? এই সরল প্রশ্নের উত্তর কী হতে পারে, একজন অভিভাবক হিসেবে কী করা উচিত? কোমলমতি এসব শিশুদের রক্ষা করার উপায় কী? আমার জানা নেই। নৈতিক শিক্ষা, শিক্ষাগুরুর সন্নিকটে শিক্ষা গ্রহণ, বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ এসব থেকে বঞ্চিত তারা। কিন্তু আমাদের শিশুদের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তারা স্বপ্ন দেখে ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। মোটেও কল্পনার জগতে বাস করে না তারা। আমাদের শিশুরা বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বই পড়ার তালিকায় রয়েছে জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক, কলাম লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই। শিশুরা তাঁর লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে হতে চায় বিজ্ঞানী। তারা নাসার বিজ্ঞানী হতে চায়, হতে চায় জুনিয়র আইনস্টাইন। আজকালকার শিশুদের আলোচনার বিষয় সৌরজগত, ফুটবল (কোপা আমেরিকা, ইউরো কাপ) ও ক্রিকেট খেলা ইত্যাদি। অভিভাবকদের জন্য এটি স্বস্তির।

এতোকিছুর পরেও সন্তানদের ওপর ভীষণ রাগ করি। দীর্ঘ সময় ডিভাইস নিয়ে থাকার কুফল নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গেলেই বেধে যায় লঙ্কাকান্ড (একটু আগেই লিখেছি ধারাবাহিকভাবে ডিভাইস ব্যবহারে কী কী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিশুরা)। দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ, মোবাইল নিয়ে থাকার ফলে খিটখিটে মেজাজ, ধৈর্যের ঘাটতিসহ আচরণগত কিছু পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। এছাড়া, প্রাত্যহিক জীবনেও এসেছে ভয়াবহ পরিবর্তন। নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের মাথায়ই নেই। রাত জাগা ও দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে থাকা (ক্লাসের একটু আগে ওঠা) একটি শিশুর জন্য কতোটা ক্ষতিকর তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বোঝে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে (১০ মিনিটের বিরতি কথা থাকলেও) ক্লাস চলে। জুমে ক্লাস করা, গাদাগাদা অ্যাসাইনমেন্ট এসবের চক্রাকারে পড়ে তারা আজ বিপর্যস্ত। এর সঙ্গে এটাই বাস্তব যে, জুমে ক্লাস অন করে শিশুরা শুয়ে-বসে সময় কাটায়। ক্লান্তি আর বিরক্ত। যা একটি পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক ও কষ্টদায়ক। সন্তানের এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কী? সংশ্লিষ্ট মহল এ বিষয়টি আরোও গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ ও নজরদারিতে আনবেন একজন অভিভাবক হিসেবে এ আকুতি।

করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিকে অবান্তর বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, করোনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কম না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বিজ্ঞানসম্মত নয়। করোনা মহামারীর মধ্যে শিক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ নেয়া হয়ে থাকে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে সবিনয়ে বলতে চাই : পড়াশুনা দরকার কিন্তু তার আগে প্রয়োজন সুস্থ-স্বাভাবিক শিশুকে রক্ষা করা। এ সমস্ত প্রতিযোগিতায় দুরন্ত শিশুদের ধ্বংস করা হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুন্দর ভবিষ্যৎ। বিকলাঙ্গ ভবিষ্যৎ কারো কাম্য নয়। সুস্থ থাকুক শিশুরা, সুন্দর হোক আগামী।

নিউজ ট্যাগ: শিশুর জগত

আরও খবর

একেক শিশুর পছন্দ একেক ধরনের বই

শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

খুলে গেল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার গেট

মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর