প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেড়েছে। আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলি। রোববার (২৬ জুন) সকালে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২২’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এবার জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১৫ জনকে বছরের সেরা মেধাবী পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর এই
পুরস্কার দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে টিকা দেওয়া হয়েছে। বুস্টার ডোজ
দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে ১২ বছরের কম বয়সী
শিশুদেরও করোনার টিকা দেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের
অনেক মেধা রয়েছে। দেশ গড়তে তাদের মেধা কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বিষয়ে তিনি বলেন,
২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইলে
উপবৃত্তি টাকা দেওয়া হচ্ছে। ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী এ সুবিধা পাচ্ছে। এ সময় শিক্ষার
উন্নতির জন্য তার সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা
পেয়েছে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। আমাদের শিশুরা এগুলো নিয়ে কাজ
করবে। তারাই বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে কাজ করবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যখন
দুর্নীতির অভিযোগ দিলো তখন মেনে নিতে পারিনি। এ জন্য চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা দেশের জন্য
কাজ করতে এসেছি। আমাদের দেশের কারও প্রচোরণায় বিশ্ব ব্যাংক সারে দাঁড়ায়। কিন্তু আমরা
করে দেখিয়েছি। বাংলাদেশ পারে, আমরা পারি। আজকের প্রজন্মকে মাথায় রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী
জাতি। মাথা উঁচু করে চলতে হবে।