চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২
হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখের মত।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি,
হংকং, ফিলিপাইন ও ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৮ কোটি
১৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ লাখ ৪৭ হাজার।
সোমবার (২৮ মার্চ)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ২ হাজার ৩২৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় সাতশো।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮০ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫১২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় আড়াই লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ১৯১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৮২ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার
৮৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৪ হাজার ৮৯৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে
মারা গেছেন ৩৩৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ২৮০ জন। এছাড়া মহামারির
শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৪২ জন
এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫১ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৫২ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩ হাজার ৪৬৭ জন মারা গেছেন।
করোনায় আক্রান্তের
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের
সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৩২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৮ জন। মহামারির শুরু থেকে
দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৫১ জন এবং মারা গেছেন
৫ লাখ ২১ হাজার ৬৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৪
জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন
৮২ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭ জন এবং মারা
গেছেন ১০০ জন।
গত একদিনে ফ্রান্সে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৩ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৭২ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৯৮ জন।
এছাড়া করোনায়
আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হংকংয়ে ১৫১ জন, ইরানে ৫০ জন, ভিয়েতনামে ৪৮ জন, চিলিতে ৮৩
জন, ফিলিপাইনে ১৩১ জন এবং থাইল্যান্ডে ৮৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে
মারা গেছেন ১০১ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু
হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৩৫ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।