চট্টগ্রাম টেস্টে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে
মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেটে ২২৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী
স্টেডিয়াম মানেই যেন মুমিনুল হকের ব্যাটে রানের ফোয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি
টেস্টের প্রথম ইনিংসে তা হয়নি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেই মুমিনুল ফিরেছেন স্বরুপে। ক্যারিয়ারের
দশম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। দেশের পক্ষে তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি
টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক। ছাড়িয়ে গেছেন তামিমের ৯ সেঞ্চুরিকে।
১৮২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে
১১৫ রান করে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের শিকার হয়েছেন মুমিনুল। তার আগে ১১২ বলে ৫ চারে ৬৯
রান করে জোমেল ওয়ারিকেনের বলে আউট হন লিটন দাস।
এরপর ইনিংসের
৬৮তম ওভারে এসে তাইজুল ইসলাম (৩) আর মেহেদি মিরাজকে (৭) ক্যারিবীয় এই স্পিনার চার বলের
ব্যবধানে ফিরিয়ে দিলে আর দেরি না করে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
আগের দিনের শেষ
সেশনে ৩ উইকেটে ৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনের সকালে শুরুর পৌনে এক ঘণ্টা
ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন মুশফিকুর রহীম ও মুমিনুল হক। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপদ। রাহকিম কর্নওয়ালের
একটি অফস্ট্যাম্পের ডেলিভারি অনসাইডে খেলতে গিয়ে মিস করেন মুশফিক, বল আঘাত হানে প্যাডে।
বোলার ছাড়া বাকি
ফিল্ডারদের কেউ সেভাবে আবেদনও করেননি। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। মুশফিক রিভিউ
নিয়েছিলেন। কাজ হয়নি, বল উইকেট হিট করেছে দেখা যায়। ফলে ৪৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস নিয়ে
সন্তুষ্ট থাকতে হয় মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-মুমিনুলের জুটিটি ছিল
৪০ রানের।
মুশফিক সাজঘরে
ফেরার কিছু পরই ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি
করতে ৮৪ বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ৫টি চারের মার।
দিনের শুরু থেকে
গ্যাব্রিয়েলের শরীর বরাবর ধেয়ে আসা বাউন্সার কিংবা কর্নওয়ালের স্পিনের বিপক্ষে সাবলীল
ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল। ক্যারিবীয়দের কোনো পরিকল্পনাই সফল হতে দেয়নি মুমিনুল-লিটন
জুটি।
দুই প্রান্ত থেকে
সমান গতিতে রান করেছেন তারা। লিটনের বিপক্ষে অবশ্য একবার লেগ বিফোরের জোরাল আবেদন করেছিল
ক্যারিবীয়রা। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি, রিভিউ নিয়েও সফলতা পায়নি সফরকারি দল।