Logo
শিরোনাম

লঞ্চ-ফেরিতে উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল অব্যাহত ছিল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। শুক্রবার রাত থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রীজ পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে গেছে যানজট। পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় আটকে পড়েছে সহস্রাধিক যানবাহন।

মাগুরা থেকে ঢাকায় আসতে ভোগান্তির কথা জানিয়ে তামান্না রহমান বলেন, রাত ১টায় ঘাট এলাকায় এসে জ্যামে পড়েছি। ভোরেও ফেরির নাগাল পায়নি বাস। শনিবারই আমার অফিস শুরু। পরে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে লঞ্চঘাটে এলাম। লঞ্চেও কী ভিড়! পা ফেলার জায়গা নেই যেন।

কুষ্টিায়ার বাসিন্দা সাংবাদিক তাছনিম আদনান বলেন, ঘাটের কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। একবার ওই ঘাটে ফেরি ভিড়ে তো আমরা ওই ঘাটে ছুটি, আবার এ ঘাটে ফেরি আসলে এ ঘাটে ছুটি। যারা ভেঙ্গে ভেঙ্গে এসেছে তারাও ব্যাগ কাপড়সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ফেরির জন্য এ ঘাট ও ঘাট ছোটাছুটি শুরু করেছে।

খুলনা থেকে আসা যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ফেরি ঘাটে ভিড়তেই সাথে সাথে যাত্রী ও মোটরসাইকেলেই ফেরি পরিপূর্ণ হয়ে আছে। সেখানে অন্য গাড়ি পার করার সুযোগ নেই। মানুষের ভিড়ে পা ফেলারও জায়গাটুকু নেই। মানুষ যতটা আনন্দ নিয়ে ঈদ কাটাতে গিয়েছিল ঘাটে এসে সেই আনন্দের খেসারত দিয়ে যাচ্ছে।

লঞ্চ ঘাটেও একই চিত্র। এই নৌরুটে চলাচলকারী ২০ টি লঞ্চের প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১২৫ থেকে ১৭৫ জন; কিন্তু নেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি।  যদিও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত, রোভার স্কাউটস কাজ করছে। কিন্তু যাত্রীরা কেউ নির্দেশনা মানতে নারাজ। লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে তারা হুড়োহুড়ি করে উঠে যাচ্ছেন। শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে অচলাবস্থার কারণে ওই নৌরুটের অধিকাংশ যানবাহন এই নৌরুট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি চলাচল করছে। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহীবাস অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট এলাকায় সিরিয়াল হলেও খুব বেশি সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না। রুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কম সময়ের মধ্যেই যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো পারাপার হতে পারছে।

এদিকে পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকাফেরত যাত্রীরা পড়েছেন আরেক দুর্ভোগে। তারা বলছেন, ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে ট্রাকে বা পিকআপে চড়ে ঢাকায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে এসে ঢাকায় যাওয়ার জন্য যানবাহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে বসে অপেক্ষা করছেন। অনেকে গাদাগাদি করে রিক্সা ও ভ্যানে চড়ে এক ষ্টেশন থেকে অন্য ষ্টেশনে যাচ্ছেন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।

পাবনার চরকল্যাণপুর থেকে আসা হাবিবুর রহমান, দেলোয়ারা বেগম, সিমা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় শনিবার সকালে। তারা সবাই ঢাকার আইডিএস গার্মেন্টসের কর্মী। হাবিবুর রহমান বলেন, শনিবারই গার্মেন্টস খুলছে। তাই আজই তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে হত।  আজ (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে নদী পার হয়ে আরিচা ঘাটে আসেন তারা। ঘাট থেকে তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তারা উথলী বাস স্টেশন আসেন। সেখানে বাস না পেয়ে তারা জনপ্রতি ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ট্রাকে চড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

অনেক বাস চালক অভিযোগ করেন, বাস-মালিক সমিতির নামে ঘাট এলাকায় ৪০০-৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। শিবালয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলাল উদ্দিন জানান, কেউ বাস চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  শিবালয় থানার ওসি শাহিনুর রহমান জানান, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর