Logo
শিরোনাম

মাকে লেখা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজি নুরুন্নবীর চিঠি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫৭০জন দেখেছেন
News desk

Image

আজ ছুটি। কাল রাতে তোমাকে দেখলাম। অনেকদিন পর তোমার কথা মনে পড়ল। রাগ করোনা ইচ্ছে করেই তোমাকে ভুলে গিয়েছিলাম (এখন সামান্যতম মানসিক দুর্বলতাকে আমার প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। সাহস আর মানসিক দৃঢ়তাই আমার মূলধন)। আমার ঘরের বাইরে মেঘের মিছিল। তোমরাও তো এখন বৃষ্টির গান শুনছো, নয় কি? বাংলাদেশের আকাশ-আহা কতদিন দেখিনি। বাংলার মেঘ, বৃষ্টি বাতাসের সান্নিধ্যে কবে যাব। মা, আমি তোমার কাছে যাব মাগো।

মায়ের কাছে যাওয়ার এই আকুতি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এক সন্তানের। যার রক্তের ভেতর ছিল স্বপ্ন আর তার যৌবনের অহংকার দেশপ্রেম। যার কাছে মানুষ মা ও বাংলা মা দুই এক হয়ে গিয়েছিল। একজনের কথা যিনি আলাদা করে ভাবতেই পারেননি। আর মুক্তি যুদ্ধে উৎসর্গকৃত প্রাণ এ শহীদের নাম কাজি নুরুন্নবী। যুদ্ধদিনে তিনি নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। মায়ের কাছে লেখা এ চিঠি ডায়েরির অংশ।

টগবগে এই তরুণের ১৯৭০-৭১ এ লেখা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজি নুরুন্নবীর ডায়েরি নামে এ সংকলনটি কাজী ইসলামের সম্পাদনায় কয়েক বছর আগে ঢাকার অয়ন প্রকাশনীর পক্ষে মিঠু কবির প্রকাশ করেন।

সংকলনটি থেকে জানা যায়, কাজি নুরুন্নবী রাজশাহী মেডিকেল কলেজে শেষ বর্ষে পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রথমে ইপিআর এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। রাজশাহী পতনের পর ভারতের বালুরঘাটের বাঙালিপুর যুবক্যাম্পে যোগ দেন। সেখান থেকে টান্ডুরায় জেনারেল উবানের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে মুজিব বাহিনীর রাজশাহী বিভাগের লিডার নির্বাচিত হন। একাত্তরের ১ অক্টোবর রাজশাহীতে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধৃত হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।

নুরুন্নবী নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। রাজশাহীর পতনের সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত একজন মেল নার্সের কাছে ৭০-৭১ এর ডায়েরি দুটি রেখ যান। যুদ্ধের পর কোন এক সজ্জন ব্যক্তি ডায়েরি দুটি নুরুন্নবীর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। মাকে লেখা এ চিঠিটি ডায়েরি ৭১ এ লেখা।

কাজি নুরুন্নবী মাকে লেখা চিঠিতে আরো লিখেন, ভাবছিলাম বেশ বদলে গেছি। আজ দেখছি মোটেও তা নয়। আজ মনে হচ্ছে কতদিন কবিতা পড়িনি। কেমন করে আছি, অথচ আছি। এখন যদিও আমি দিন রাত যুদ্ধের কথা ভাবি, অস্ত্রের কথা ভাবি, ভাবি পাকিস্তানীদের কেমন করে খুন করবো, কিন্তু দেখছি সবার পাশে কবিতার কথা ভাবছি। তোমার কথা ভাবছি। আসবার সময় আমার মায়ের চোখে জল দেখেছিলাম। কিন্তু বাবার চোখে বিদ্যুৎ দেখেছিলাম। জানো, আসবার সময় অসুস্থ শরীরেও বাবা আমাদের দুই ভাইকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিলেন। তখনো বাবা আমার হেসেছেন। মাঝে মাঝে ভাবনা হয়, ওদের কি দেখতে পাব। কিন্তু আমাদের দুঃখ করতে নেই। মন খারাপ করতে নেই।

একাত্তরের মার্চ মাসের ২৭ তারিখ নুরুন্নবী শেষ তার মাকে দেখেছিলেন। এ নিয়ে চিঠিতে লিখেন , ২৭/৩ বোধ হয় তোমাকে দেখেছিলাম, তাই না? এই তিন মাসে কত কি হয়ে গেলো। আমি মানুষটাও কত বদলে গেলাম। এখন কিন্তু মনে হয় মায়ের যোগ্য সন্তান হয়েছি (মানুষ মায়ের ও বাংলা মায়েরও)। আসলে দুই মা আমার কাছে এক হয়ে গিয়েছে। একজনের কথা আলাদা করে ভাবতেই পারি না। তোমার যোগ্য হয়েছি কিনা সেটা সম্বন্ধে আমি সন্দিহান। সেটা বোধ হয় আর হতে পারব না। ইচ্ছাকৃতভাবে যে জীবন আামি বেছে নিয়েছি তা থেকে মুক্তি আমার নেই। তা আমি চাইও না। যতদিন না আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি তত দিনেই। মৃত্যু ছাড়া আমি সরবো না।

সৈনিক হতে চাইতাম, তোমাকে বলতাম প্রায়ই, মনে পড়ে? সে সৈনিক আমি হয়েছি নিজের দেশের সৈনিক। মায়ের ঋণ শোধের একমাত্র পথ, আসলে ঋণ শোধ তো সম্ভব নয়, বলতে পার মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনের একমাত্র পথ। সেই সুযোগ আমি পেয়েছি। একি ছাড়া যায়? মায়ের জন্য রক্ত দেয়ার এ মহা সুযোগ কি কোন সন্তান ছাড়তে পারে-লিখেন নুরুন্নবী।

চিঠিটা শেষ হয় মায়ের কাছে যাওয়ার তীব্র আকুতি নিয়ে। নুরুন্নবী লিখেন, ট্রেনিং প্রায় শেষ। ব্যস্ততার ঘাটতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে দিবাবসানের সময়। ছাত্রজীবনেও এত মনযোগী সিনসিয়ার হতে পারিনি। অথচ এখানে আমার কাজে আমিই অবাক হয়ে গেছি। তবুও, মনে হয়, সব শেখা হলো না। জানার বাদ থেকে গেলো। মা, আমি তোমার কাছে যাব মাগো।

নুরুন্নবীর মায়ের কাছে আর ফেরা হয়নি। সামিল হতে পারেননি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী মানুষের মিছিলে। কি করে পারবেন? সম্প্রতি প্রয়াত লেখক এবং সাংবাদিক রাহাত খান না পারা নিয়ে লিখেছেন, যুদ্ধে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় নুরুন্নবী ভাবতেন দেশ স্বাধীন হবেই। পরক্ষণেই তার মনে হয়েছে উন্নত শির সেই মানুষের মিছিলে তিনি হয়তো যেতে পারবেন না। দুঃখ নেই।

নুরুন্নবীর কথা সত্য হয়েছে। দেশ বিজয় অর্জন করেছে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর। নুরুন্নবী শহীদ হন অক্টোবরে। স্বাধীনতার মিছিলে তিনি যোগ দিতে পারেন নি। কী করে পারবেন? তার রক্তে স্রোত হয়েই তো স্বাধীনতা এসেছে। সূত্র: বাসস


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর