মূল স্টেডিয়ামে ম্যাচ ফিরতেই দর্শক বেড়েছে
গ্যালারিতে। হাজারখানেক দর্শক বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ম্যাচ উপভোগ করেছেন আনন্দচিত্তে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর মানসিকভাবে বড় ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশ এই ম্যাচে কেমন
করে, সেটিই ছিল দেখার। প্রত্যাশিতভাবেই ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট
খেলে আইসিসির সহযোগী সদস্য দলটিকে নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠেছিল স্বাগতিকরা। অভিষিক্ত
ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে মালয়েশিয়া ৪১ রানে অলআউট হয়। ফলে ৮৮ রানের বড় জয়
পেয়ে নিগার সুলতানারা।
আজ (বৃহস্পতিবার) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে
নারী এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া। ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে
মালয়েশিয়া শুরুতেই ধাক্কা খায়। দেখেশুনে ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩ রান তোলে তারা। ষষ্ঠ
ওভারে অভিষিক্ত ফারিহার পেস বোলিংয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়ে দলটির টপ অর্ডার। ফারিহার হ্যাটট্রিকে
৫০ রানও ছুঁতে পারেনি মালয়েশিয়া। দলটির কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
নুর আরিয়ান নাট্যা ও এলসা হান্টারের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান করে। সব মিলিয়ে ১৮.৫ ওভারে
৪১ রানে অলআউট হয় দলটি।
ফারিহা ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া
লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন ও রুমানা আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন। বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা
আক্তার মেঘলাও নেন ২ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার। কিন্তু প্রথম বলেই ভয় ধরিয়ে দেন মালয়েশিয়ান পেসার সাশা আজমি।
তার প্রথম বলটি টার্ন করে কিছুটা ভেতরে ঢোকে। শামীমা কিছুটা বিলম্বে ব্যাট চালিয়ে বিপদে
পড়েন। আর তাতেই ব্যাটের ফাঁক গলিয়ে বল গিয়ে আঘাত হানে পায়ে। আবেদন হতেই আম্পায়ার আউটের
সংকেত দেন। শামীমার বিদায়ের পর ফারজানা হক পিংকি নেমেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ২৪ বলে
১০ রান করেন এই ব্যাটার।
এরপর টুর্নামেন্টে প্রথম সুযোগ পাওয়া মোর্শেদা
খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক নিগার দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন
৮৭ রানের জুটি। নিগার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। দারুণ এক চারে ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরিতে
পৌঁছান বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে লং শটস খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে
ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ৩৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলেন ৫৩ রানের
ইনিংস। এটা নিগারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।
তার আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি
তুলে নিয়েছেন মোর্শেদা। শেষ বলে দ্রুত ২ রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হন মোর্শেদা।
৪৭ বলে ৫০ রান ছোঁয়া বাঁহাতি এই ব্যাটার ৫৪ বলে ৫৬ রান করে আউট হয়েছেন, মেরেছেন ৪ বাউন্ডারি।
এক ওভারে উইকেটে জমে যাওয়া দুই ব্যাটারের
আউটের পর শেষ ওভারে রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৬ রান তুলতে তারা হারায় ১ উইকেট।
ফাহিমা খাতুন (৫) রান আউটের শিকার হন। রিতু মনি ২ ও রুমানা আহমেদ ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করতে পারে ১২৯ রান। মাহিরাহ
ইসমাইল, উইনিফ্রেড ও সাশা আজমি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।