প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন যে কেউ করতে পারে, কিন্তু মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি
খেলতে দেব না। সংকট আসবে, সেটা মোকাবিলা করার মতো মনোবল থাকতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কাউকে মনমরা অবস্থায় দেখতে চাই না। জ্বালাও পোড়াও দেখে ভয় পাবেন না। আমরা আর এটা করতে দেব না। আজ সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি, তাদের
মনের বৈরিতা কিন্তু এখনও কেটে যায়নি। সেটা অতিক্রম করেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সেজন্য মুখ গোমরা করে থাকা আমি দেখতে চাই না। সবাইকে হাসি-খুশি
দেখতে চাই। যেটুকু মানুষের জীবনে সমস্যা আসে, সেটা অতিক্রম করার জন্য মনোবল ও শক্তি
দরকার হয়। সেই শক্তি নিয়ে চললে বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন,
সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। শতভাগ মানুষের
ঘর বাড়ি থাকবে। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। উন্নতি হবে সবার। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের
কাজের ছাপ রাখছি। আগে যে হাহাকার ছিল, এখন কিন্তু সেটি নেই। আগে মিটিং করতে গেলে দেখতাম,
ছেঁড়া কাপড়। এখন সেটি দেখি না।
শেখ হাসিনা
বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়েও ঢাকায় যতটা হাহাকার, গ্রামেগঞ্জে কিন্তু সেটি নেই। ২০৪১
সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা। আমরা পরিকল্পনা করে দিয়েছি, এখন
ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের পালা।’
তিনি আরও বলেন,
‘অর্থনৈতিকভাবে
প্রচণ্ড চাপ আমাদের না শুধু, সারা বিশ্বব্যাপী। উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু
আমরা করোনা মোকাবিলা করে বিশ্বে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছি। অর্থনৈতিক চাপ আছে, কিন্তু
অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রেখেছি। এর পেছনে যারা কাজ করেছে, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা
আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব বড় কথা না। আমি মনে করি, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সেটাই করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।