Logo
শিরোনাম

মেহেরপুরে প্রেমিকের খাওয়ানো হারপিকে প্রাণ গেল প্রেমিকার

প্রকাশিত:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খুলনা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলায় প্রেমিকের জোর করে খাওয়ানো হারপিকে প্রাণ গেল প্রেমিকা সুম্মা খাতুনের। সুম্মা গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের রেজাউল হকের কন্যা ও হাড়াভাঙ্গা এইসএসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। দীর্ঘ দুই মাসের জীবনযুদ্ধে হার মেনেছে সুম্মা।

ঢাকা শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে মুত্যু হয় সুম্মার। সুম্মার মৃত্যু হলে সন্ধ্যার দিকে মরদেহ গ্রামে এসে পৌঁছায়। সুম্মার মৃত্যুতে পরিবার ও গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

এদিকে অসুস্থ থাকাকালীন সুম্মা খাতুন এক ভিডিও বার্তায় জানায়, সেদিন আমাদের বাড়িতে কেউ ছিল না। আমি একা ছিলাম। আমার প্রেমিক আমাদের বাড়িতে এসে বলে, পরিবার আমাদের মেনে নিচ্ছে না। আমরা দু’জন একসাথে আত্মহত্যা করবো। এই বলে সে আমাকে জোর করে হারপিক খাওয়ায়। এরপর আমি জ্বালা-যন্ত্রণায় চিৎকার দিলে আমার প্রেমিক আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়। আমি অনেক দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছি। কিন্তু ও আমার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেনি। আমি এর বিচার চাই।’

সুম্মার পরিবার জানান, একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাইদুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুম্মার। কয়েক মাস যেতে না যেতেই সম্পর্কের কথা উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। কয়েকবার ছেলের পরিবারকে বিয়ে প্রস্তাব দেয় সুম্মার পরিবার। বিয়ের বিষয়টি ছেলের পরিবার মেনে নেয়নি। এর পর গত ২২ মে সুম্মার বাড়ি গিয়ে সুম্মাকে জোর করে হারপিক পান করায় তার প্রেমিক। পরে পরিবারের লোকজন সুম্মাকে উদ্ধার করে করমদি সন্ধানী হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকা শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সুম্মার পিতা রেজাউল হক জানায়, আমার মেয়ের মৃত্যু জন্য ওই ছেলেই দায়ী। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করতে গিয়ে আমি পথের ফকির হয়ে গেছি। তবুও আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলাম না’, বলতে বলতেই মূর্ছা যান সুম্মার পিতা।

এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার পরিবারের লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। এ কারণে তাদের পরিবারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের জানান, সুম্মার বাবা রেজাউল হক আজ সোমবার সকালে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর

মেহেরপুরে বাস দুর্ঘটনায় শিশুসহ আহত ৩০

রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে না উল্লেখ করে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, রাজনীতিবিদদের বলব রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। আজ বুধবার দুপুরে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগসহ দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে। আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি মিলে যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নেই তাহলে এসব দুর্নীতি অপসারণ করা সহজ হবে।

এ সময় তিনি আদালতকে রাজনীতির সঙ্গে না জড়ানোর জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর আস্থার যে কমতি হয়েছে তা শুধু বিচারকদের কারণে নয়, এ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের জন্য এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা কাজের মাধ্যমে দূর হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে ন্যায়বিচার দিতে কাজ করে যাব, সামাজিক পরিবর্তন না আসলে শুধু মামলা করে অপরাধ দূর করা যাবে না।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। শপথগ্রহণের তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, এবার কয়লা সংকট নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজীমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগে টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র) ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। টারবাইন মেরামত শেষে ২০ জুলাই দুপুর থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদন শুরুর পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৬ জুলাই ৩০ জুলাই ও সবশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।


আরও খবর



ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ড. ইউনূসের খায়েশ পূর্ণ হয়নি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের খায়েশ পূর্ণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার সচিবালয়ে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না, বাজারে ভাটা পড়েছে। এমতাবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে আবার নতুন খেলা শুরু করেছেন তারা। বিএনপি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলেন না। কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান-ইলেভেনের মতো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার হবে- এমন কথাবার্তায় বাজার সরগরম রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সেই দুঃস্বপ্ন দেখছে কি না, জানি না। ওয়ান-ইলেভেনে ইউনূস কম চেষ্টা করেননি। তখনো তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যারা ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখুন। 

তিনি বলেন, আপনারা হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, এই ড. ইউনূস আমাদের শহীদ মিনারে কোনো দিন গেছেন? জাতীয় স্মৃতিসৌধে কোনো দিন গেছেন? আমাদের বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে তিনি কখনো এসেছেন? তিনি কী কখনো সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন? ভয়াবহ করোনায় সময়ও তিনি কোনো কথা বলেননি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে যায়, ড. ইউনূস কথা বলেননি। আমি চাই, যেই মানুষ আমার সুখে-দুঃখে নেই, সেই মানুষটির জন্য আমাদের এত মায়াকান্না কেন? তিনি আমাদের সুখ-দুঃখ ও কষ্টের সময় নেই। তার জন্য আমাদের এত দরদ কেন?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নোবেল পেয়ে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোনো দেশের আইনে আছে? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? তিনি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রমিকরা।

তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ীরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতির জায়গা (বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য পত্রিকার পাতায় জায়গা) কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার দরকার হয়। আমাদের দেশের পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেবেন, সেটির স্পেসের একটি হিসাব আছে। মার্কিন পত্রিকায় দুই মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যে বিবৃতি তিনি দিয়েছেন, সেই টাকা কোথায় পেয়েছেন? এই অর্থ কোথা থেকে এল?


আরও খবর



রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন গোপালগঞ্জ আদালত।

বুধবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এর বিচারক শেখ মো. রুবেল এ পরোয়ানা জারি করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. দেলোয়ার হোসেন সরদার।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন। এছাড়া মামলার বাদী দোলেয়ার হোসেন সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন।

পরে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ও ২৪ ডিসেম্বর পত্রিকায় ছাপা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হওয়ায় দোলেয়ার হোসেন সরদার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন।

 মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। 

বুধবার এ মামলায় আদালতে হাজির হবার কথা ছিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।


আরও খবর