Logo
শিরোনাম

মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৪২৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
পরিবারের সবাই জানত ওই ছেলের সাথে এই মেয়ের সম্পর্ক আছে। এবং হয়ত এই সম্পর্কটা পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছে। অন্য ব্যাখ্যা হতে পারে- কেউ কিছু জানত'ই না।

আমিনুল ইসলাম

মেয়েটিকে নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। মেয়েটির বয়েস কম ছিল। কলেজে পড়ছিল। কতো হবে বয়েস?  ১৫-১৬? কিংবা সর্বোচ্চ ১৭? এর বেশি তো কোন ভাবেই নয়। এতটুকু মেয়ে ভুল করছিল না সঠিক কাজ করছিল; এই নিয়ে যারা লিখছেন; তাদের চিন্তার দৈন্যতা নিয়ে বরং আলোচনা হতে পারে।

দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে যা জানলাম, তাতে অবশ্য মনে হচ্ছে মেয়েটি মারা গিয়েছে কোন এক ভুতের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে! কেউ তাদের নাম বলছে না। পরিচয় প্রকাশ করছে না। এই হচ্ছে আমাদের নামকরা সংবাদ মাধ্যম গুলো দৌড়!

অবশ্য ভুতের বাবার যদি নিজের'ই দুই-চারটা পত্রিকার মালিকানা থাকে। দুই-চারটা টেলিভিশন চ্যানেল থাকে। বিরাট শপিং মল আর একটা আস্ত শহরের বিশাল অংশের জমির মালিকানা থাকে; তাহলে এমন দুই চারটা "মানুষ" মেরে ফেলা যায়। এতে কোন সমস্যা নেই।

তাছাড়া শুনেছি ভুত সমাজের নাকি মানুষ খেতে ভালো লাগে। মানুষের মাংসের স্বাদ নাকি একটু বেশি'ই!

তো, দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি- মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে! তাই ভুতের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও তারা মেয়ের পরিবারের কে কোথায় থাকে। কে, কি করে এইসব হদিস'ই পেয়ে গিয়েছে। অবশ্য মেয়েটি তো মানুষ! কেবল ভুতের পরিচয় পাওয়া যায়নি! অবশ্য মানুষ হয়ে ভুতের পরিচয় পাওয়া কি আর এতো সহজ নাকি!

শেষমেশ নাম না জানা সাধারণ অন-লাইন পত্রিকা গুলো পড়ে জানতে পারলাম- ভুত না; বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলের (সায়েম বোধকরি নাম) সাথে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল।

মেয়েটার বাড়ি কুমিল্লায়। সে কলেজে পড়তে ঢাকা এসছিল। মাস তিনেক হয় গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকতো। সেই ফ্ল্যাটের ভাড়া মাসে লাখ টাকারও বেশি। ওই ফ্ল্যাটে মেয়েটা একা'ই থাকতো। আর ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ওই মালিকের ছেলে। যে নিজেও বসুন্ধরা গ্রুপের একজন এমডি।  সে-ই ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া দিত।

মৃত্যুর আগের দিন ওই মেয়ে তার বোনকে বলেছিল- সে বিপদে পরেছে। এরপর তার বোন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে দেখে তার বোনের মৃত দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।

এখন নামকরা পত্রিকা গুলো লিখছে- এই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই মেয়ে যে আত্মহত্যা করেছে; আপনারা কি করে নিশ্চিত হলেন? অবশ্য ভুতের সাথে সম্পর্ক ছিল বলে কথা। ভুত সমাজ তো আবার চাইলে যে কাউকে উধাও করে দিতে পারে। ভুত ভলে কথা। একটা ফুঁ দিলেই উধাও!

এই পর্যন্ত লিখেই ভেবেছিলাম লেখাটা শেষ করবো।

আগেই বলেছি মেয়েটাকে নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। অতটুকু মেয়ে ভুল করছিল নাকি ভালো করছিল; সেটা বুঝার হয়ত বয়েস'ই তার হয়নি। এই বয়েসে সবার কাছেই সব কিছু রঙিন মনে হয়। অতি সাধারণ জিনিসকেও মনে হয় বিশাল কিছু। আমরা সবাই এই বয়েস পার করে এসছি। সুতরাং এই বিষয় গুলো আমাদের জানা।

তাহলে আমরা কেন ভুল পথে যাইনি?

কারণ আমাদের পরিবারের সদস্যরা সব সময় আমাদের সঠিক পথ'টা দেখিয়ে দিতেন। বাবা-মা; বড় ভাই-বোনদের দায়িত্ব হচ্ছে- ছোটরা যদি কোন ভুল করে থাকে; কিংবা ভুল পথে যায়; তাহলে তাদেরকে সঠিক পথটা দেখিয়ে দেয়া।  এই মেয়েটা ঢাকা শহরে গুলশানের মতো একটা জায়গায় এতো বিশাল ফ্ল্যাটে থাকতো। যার ভাড়া'ই হচ্ছে এক লাখ টাকার উপর। আমি মোটামুটি নিশ্চিত- এক জীবনে আমার নিজের অন্তত এই সামর্থ্য হবে না।

তো, এই মেয়েটা এমন একটা অভিজাত এলাকায় এতো দামী একটা ফ্ল্যাটে থাকছিল; তার বড় বোন এবং পরিবারের অন্য সবাই সেটা জানত। এর দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে। প্রথম ব্যাখ্যা হচ্ছে- পরিবারের সবাই জানত ওই ছেলের সাথে এই মেয়ের সম্পর্ক আছে। এবং হয়ত এই সম্পর্কটা পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছে। অন্য ব্যাখ্যা হতে পারে- কেউ কিছু জানত'ই না।

দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটা গ্রহণযোগ্য হবার কথা নয়। কারণ মেয়েটা ওই ফ্ল্যাটে তিন মাসের মতো থাকছিল এবং তার বড় বোন অন্তত ওই বাসাটা চিনত।

ভালোবাসা জাত মানে না। ভালোবাসা শ্রেণী মানে না। ভালোবাসা কোন কিছুই মানে না। তাদের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে থাকে; তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু তাদের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে না থাকে; তাহলে মেয়েটা ভুল করছিল। সেই ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব ছিল পরিবারের বড়'দের।  এমনকি ভালোও যদি বেসে থাকে; এরপরও পরিবারের দায়িত্ব ছিল মেয়েটাকে সতর্ক করা। কারণ মেয়েটা পরিণত বয়েসের ছিল না।

ভুতের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয় না।

ভুতের কাজ ভুত করেছে; মাঝখান থেকে মানুষটা হারিয়ে গিয়েছে। ভুতেদের বিচার হয় না। কারণ তারা অস্পৃশ্য। তাদের দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তারা ইচ্ছে হলে মানুষের মাংস খায়। মাঝখান থেকে দোষ হয় ওই মানুষটার- কেন সে ভুতের সামনে হাজির হলো। তাই নিজেদেরই সতর্ক হতে হবে। সেই শিক্ষা পরিবারকেই দিতে হবে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর