নারী সাফের
ট্রফির দুয়ারে গিয়েও হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। প্রত্যেক ম্যাচ ভালো
খেলার স্বাক্ষর রেখে ট্রফি উঁচিয়ে তুলতে পারেনি বাংলার নারী ফুটবলাররা। হতাশা নিয়ে
ফিরে আসা ফুটবলাররা নতুন করে পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করে সাফের যুদ্ধের ময়দানে
নেমেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যবিধাতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এসব কথা এখন আর মুখে আনতে চান না
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। কথা একটাই, ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে
নেপালে এসেছিলাম সেটা পূর্ণ হয়েছে। এখন খেলা একটাই। সেটা ফাইনাল।
নেপালের ফুটবলে
ফাইনাল, নেপাল ফাইনাল খেলবে, তাদের জন্য পোয়াবারো। এককথায় বলা যায় নেপাল মাঠে নামার
আগেই ম্যাচের অর্ধেক এগিয়ে থাকে। ওদের পেছনে থাকে গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শক। বাংলাদেশ
এই পরিবেশে লড়াই করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। পারবে কি সাবিনারা। কোচ গোলাম রাব্বানী
ছোটনের কথা, স্বাগতিকদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলা এটা কঠিন কাজ।
আজ ফাইনাল বিকাল
সোয়া ৫টায়। নারী সাফের ফাইনালে স্টেডিয়াম ঠাসা দর্শক থাকবে। বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের
জন্য কঠিন লড়াই হবে। তবে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন মনে করছেন, এটা কোনো সমস্যা হবে না।
ছোটন বলেন, ‘আমার মনে হয়, ফাইনালে ১৫ হাজার দর্শক হবে। এটা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে
এমন পরিস্থিতিতে খেলা। কিন্তু আমার মেয়েদের
এই ভরা গ্যালারিতে খেলার অনেক অভ্যাস আছে। ভালো অভিজ্ঞতা আছে। মনে করে দেখুন, ২০১৫
সালে এই নেপালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে খেলেছে। ওরা কিন্তু জিতেছিল। ২০১৮ সালে ভুটানে অনেক
দর্শক ছিল। সেখানে নেপালের বিপক্ষে জিতেছিল এই মেয়েরা। আমাদের মেয়েরা মিয়ানমারে ২০১৯
সালে এএফসি কোয়ালিফাইংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা পায়। সেখানে বাছাইপর্বে মিয়ানমারের সঙ্গে জয়
পেয়েছিলাম। সেখানেও ভরা দর্শক ছিল। মিয়ানমারের দর্শক তুমুল চিত্কার করে কান ফাটিয়ে
দিয়েছিল। আমাদের মেয়েরা কানে ‘তুলো’ দিয়ে খেলেছে। আওয়াজ কানে নেয়নি। ওরা ভালো খেলেছিল। আমি মনে করি, ঐ অভিজ্ঞতা
আজ ফাইনালে কাজে লাগবে।’
নেপালের কোচ
কুমার থাপা বলেন, ‘বাংলাদেশ এক বার ফাইনাল খেলেছে। আমরা চার বার ফাইনাল খেলছি। কিন্তু ট্রফি
পাইনি ভারতের কারণে। এবার নতুন ইতিহাস হতে যাচ্ছে দুই দলের জন্যই। নতুন চ্যাম্পিয়ন
পেতে যাচ্ছে সাফ। আমরা সবাই সেটা জানি। আমরা সুযোগটা নষ্ট করতে চাই না। আমরা নিজের
মাঠে খেলতে পেরে খুশি। আমরা আশা করি সমর্থকরা হতাশ হবে না ৯০ মিনিট দেখে। আমরা স্বাগতিক।
গত তিন বছর এটার অপেক্ষায় ছিলাম। পরিকল্পনা টিমওয়ার্ক সঙ্গে থাকছে এক্সটা এনার্জি ফ্যান।
সব আছে। আমি আত্মবিশ্বাসী।
নেপালের অধিনায়ক
আনজিলা বলেন, ‘আমরা খুশি। ইতিহাসে প্রথম ভারতকে হারিয়েছি। আমরা এনজয় করছি। মুখের কথা
নয়, মাঠে খেলে প্রমাণ করতে চাই। ২০১৯ সালে আমাদের মাঠে আমরা পারিনি। এবার জিতব।’