আজ ঈদ
সূর্য ওঠার
সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯
এর অনুষ্ঠান। এর পরপরই পরিবেশন করা হয়েছে সম্মেলক কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে’।
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আজ আপন রঙে ফিরল বৈশাখ। আবারও সাড়ম্বরে উদ্যাপন শুরু হলো বাঙ্গালির উৎসব পয়লা বৈশাখের। এই উৎসবকে ঘিরে রমনা বটমূলের চারপাশ রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ছায়ানটের বর্ষবরণের
এবারের এই অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে ৩৭টি আয়োজন দিয়ে। এর মধ্যে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের
‘বাংলা
ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান রয়েছে। সঙ্গে থাকছে আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।
এবারের পরিবেশনে অংশ নেওয়া শিল্পী সংখ্যা ৮৫ জন। রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে।
সেই থেকে (১৯৬৭) পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। ২০০১ সালে এই আয়োজনেই জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করে। তারপরেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি।
ছায়ানটের পাশাপাশি
বর্ষবরণে থাকছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রকমারি কারুপণ্যের
সম্ভার নিয়ে বৈশাখী মেলা।
সাধারণত নববর্ষে
পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম দেশি খাবারের আয়োজন থাকে। তবে এবার পবিত্র রমজানে দিনের বেলায়
এসব খাবারের আয়োজন থাকছে না। আর সব কর্মসূচিও রমজানের মর্যাদা রক্ষা করে পালন করা হবে
বলে আগেই জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
এদিকে নিরাপত্তার কারণে এবার বেলা দুইটার মধ্যে পয়লা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রশাসন। বেলা একটার পর উৎসব এলাকায় কাউকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর সকাল সাড়ে ৯টায় টিএসসি থেকে শুরুর পর শোভাযাত্রায় কেউ ঢুকতে পারবেন না।
