Logo
শিরোনাম

প্রথম ফরাসী নারী লেখক সাহিত্যে নোবেল জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মুহাম্মদ সালাহউদ্দীন

২০২২ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ৮২ বছর বয়সী ফরাসী লেখক এ্যানি এরনো। এ পর্যন্ত ১১৯ জনকে এই বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এরনো হলেন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১৮তম নারী যিনি প্রথম ফরাসী নারী লেখক হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন। সুইডিশ একাডেমির সচিব ম্যাটস মালম স্টকহোমে একটি সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছেদ ও সমষ্টিগত বাঁধার কথা সাহস এবং বস্তুনিষ্ঠ উপলব্ধির মাধ্যমে তীক্ষতার সঙ্গে উন্মোচন করেন।

১৯৭৩ সালে এরনোর প্রথম বই ক্লিনড আউট-এ  তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা অন্তরঙ্গভাবে বলা হয়েছে। তিনি তার উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে সাহসী বিষয়গুলোর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যা পাঠকদের অবাক এবং অনুপ্রাণিত করে চলেছে। শিল্পের আলোচনা ও লিখনশৈলী, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফ, অন্তরঙ্গতা,  পাবলিক ডায়েরি এবং জীবন-লিখন যা বিষয়গুলোকে বিভাজন করতে অস্বীকার করে তিনি তার লেখার কাজে এমন পাঠ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করেন। 

 ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণকারী, এরনো উত্তর ফ্রান্সের নরম্যান্ডির ইয়েভেটতে বড় হয়েছেন। তিনি শ্রমজীবী পিতা-মাতার একমাত্র কন্যা। তার পিতা একটি ক্যাফে-কাম-মুদির দোকান চালাতেন এবং তার শৈশবকাল পরিবারে এবং এর বাইরে শ্রেণী উত্তেজনার কারণে প্রভাবিত হয়েছিল। এরনাক্স তার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেট ক্যাথলিক গার্লস স্কুলে ভর্তি হন, যা তার সঙ্গে তার পিতা-মাতার সামাজিক বিভাজনে ইন্ধন যুগিয়েছিল- বিশেষ করে তার বাবার কারণে, যা তিনি তার চতুর্থ প্রকাশনা এ ম্যানস প্লেস-এ বিশ্লেষণ করেছেন। সামাজিকভাবে বিভক্ত ও অস্থির পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফলে এরনো তার প্রতি-পালনের জন্য অস্বস্তিকর দিকগুলোর জন্য লজ্জা বোধ করেছিলেন, যেমন তার বাবার ক্যাফেতে কর্মরত-শ্রমিকদের পরিবেশ বা তার মধ্যবিত্ত গৃহিণী মা যিনি নারীত্বের রীতিগুলোকে অস্বীকার করেছেন, যা এনরাক্স তার এ ফ্রোজেন ওমেন গ্রন্থে লিখেছেন। 

 তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়েছিল শ্রমিক-শ্রেণির সংস্কৃতি, তাদের জনপ্রিয় গান এবং তার মায়ের গ্রাসকারী রোমান্টিক উপন্যাসের প্রতি আসক্তির মধ্যে। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি ফরাসী ক্লাসিক-এর আগ্রহী পাঠক ছিলেন। এরপর তিনি রুয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৭০-এর দশকে একজন পেশাদার লেখক হওয়ার আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এই অভিজ্ঞতাটি তাকে ফরাসী তত্ত্ব এবং লেখার অনুশীলন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে সহায়তা করেছে। যা তার আত্ম-কথার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।

একজন লেখক হিসেবে এরনো বুঝতে পেরেছিলেন যে, তিনি বাড়িতে যেসব ফরাসী সাহিত্য পড়েছিলেন বা ছাত্র জীবনে যা শিখেছিলেন এবং পরে শিখিয়েছিলেন তাতে তার দৈনন্দিন জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করা হয়নি। স্কুল জীবনে তিনি একটি ঘনিষ্ঠতা ও একটি সূক্ষ্ম জটিলতা সম্পর্কে অবহিত হয়েছিলেন। কারণ তার স্কুলের শিক্ষকরা মধ্যবিত্ত সহপাঠীদের গল্প আগ্রহের সঙ্গে শুনতেন কিন্তু তাকে তার ঘরোয়া জীবন সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা থেকে নিবৃত্ত করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতাগুলো তার কাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে তিনি ফরাসী সমাজবিজ্ঞানী পিয়েরে বোর্দিউকে উদ্ধৃত করে বলেন, আধিপত্য শ্রেণি এবং অধীনস্ত শ্রেণি-র মধ্যকার বারবার দ্বন্দ্ব হিসেবে।   তার প্রথম তিনটি উপন্যাস, ক্লিনড আউট, ডু হোয়াট দে সে অর এলস এবং এ ফ্রোজেন ওম্যান নিয়ে তিনি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের একটি ট্রিলজি গঠন করে। এই কাজগুলো একজন শ্রমজীবী-শ্রেণির মেয়ের সামাজিকীকরণের বিশদ বিবরণ দেয়, যার আছে মধ্যবিত্ত শিক্ষা এবং তারপর বিবাহিত জীবন। তার নায়ক একজন মহিলা, যিনি আরনক্সের অনেক পাঠকের মতো শ্রেণি ত্যাগকারী হিসেবে বিবেচিত হন। এরনো তার পরবর্তী কাজের মধ্যে, মূলের কল্পিত বিবরণগুলোকে বিশ্বাসঘাতকতার একটি রূপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন কারণ সেগুলো তার পরিবার এবং শ্রেণীর উৎসকে বহিরাগত করার ঝুঁকি নিয়েছিল।

তিনি অনুসন্ধান করেন যে কিভাবে পরিবর্তন এবং সংঘাত সবচেয়ে সাধারণ লোকদের প্রভাবিত করে, বিশেষ করে কথিত নিন্ম মর্যদার মহিলাদের। শ্রেণীর গঠনমূলক প্রভাব সম্পর্কে এরনো-এর তীব্র সচেতনতা তার কাজের পুরো বিষয় জয়ের জাগরণকে জোরালো করে। ফরাসী শ্রমিক শ্রেণির অভিজ্ঞতার ওপর তার চলমান দূরবীক্ষণের জন্য ফ্রান্সের অনেকেই তার কাজের প্রশংসা করেছেন।  এই ট্রিলজি অনুসরণ করে, এরনো লেখার শৈলী গ্রহণ করেছিলেন যার জন্য তিনি তখন থেকে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন, যাকে সাধারণত আক্ষরিক অর্থে ফ্ল্যাট রাইটিং বলা হয়। সাধারণভাবে এই অপূর্ণ শৈলীটি রীতির একটি অস্থির পদ্ধতির সঙ্গে মিলিত হয়েছে যা নৃতাত্ত্বিক, আত্মজীবনী এবং সমাজবিজ্ঞানের উপাদানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন তিনি এ ম্যানস প্লেস-এ মন্তব্য করেছেন :  লেখার এই নিরপেক্ষ উপায়টি স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে আসে, এটি একই শৈলী যা আমি ব্যবহার করেছি যখন আমি আমার বাবা-মাকে সর্বশেষ খবর জানাতে বাড়িতে চিঠি লিখেছিলাম। লেখার এই পদ্ধতিটি একটি প্রেরণার মাধ্যমে ভিত্তি নির্মাণ করেছিল। এরনো বিশ্বাস করেন যে, নিজের সম্পর্কে লিখলে এটি অনিবার্যভাবে একটি সামাজিক-রাজনৈতিক  প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িত হয় এবং এর ফলে তার নিজের অভিজ্ঞতা প্রসারিত হয়। কেবল নিজের অভিজ্ঞতার কথা লেখার মাধ্যমে, তিনি সাহিত্যে ফরাসী শ্রমিক- শ্রেণীর অভিজ্ঞতা লিখতে চান। প্রান্তিক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়ার সেই আকাঙ্খাটি তার দুটি ডায়েরি, এক্সটারিয়রস এবং থিংস সিন-এ আরও ব্যাপকভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা সুপারমার্কেটের মতো বাইরের স্থানগুলোতে বা প্যারিস মেট্রোতে যাতায়াতের সময় মানুষের দৈনন্দিন আদান-প্রদান রেকর্ড করে। তিনি তার জীবনের উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রচিত আরও অন্তরঙ্গ ডায়েরিও প্রকাশ করেছেন। আই রিমেইন ইন ডার্কনেস লেখা হয়েছিল আলঝেইমারের কারণে তার মায়ের অসুস্থতার সময়। গেটিং লস্ট হলো একটি ডায়েরি যা তিনি একজন বিবাহিত কূটনীতিকের সঙ্গে আবেগময় সম্পর্কের সময় লিখেছিলেন- এটি ছিল একটি প্রেমের সম্পর্ক যা তিনি তার উপন্যাস সিম্পল প্যাশন-এ বর্ণনা করেছেন। অকপটতার সঙ্গে যেভাবে তিনি এই লোকটির প্রতি তার আবেশের বিবরণ দিয়েছেন তা তার অনেক নারী পাঠকের স্মৃতিপথে উদিত হয়েছিল।

এরনো প্রায়শই ফরাসী সংস্কৃতি ও সমাজের প্রেক্ষাপটে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতিগুলোকে চিত্রিত করেন, তিনি তার জীবন এবং নারী ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের আরও সর্বজনীন সংগ্রামের মধ্যে সমান্তরাল আঁকতেন। এরনো-এর কাজগুলো ফ্রান্সের প্রথাগত ক্যাথলিক মূল্যবোধ থেকে দূরে, আরও ধর্মনিরপেক্ষ, অনুমতিমূলক ও যৌন মুক্ততার দিকে প্রবল সামাজিক পরিবর্তনের একটি মুহূর্তকে বন্দী করে। তিনি জীবনের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যিক ফর্মে পরিণত করার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হন সে সম্পর্কে মন্তব্য করেন এবং তার সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি স্বপ্রতিফলিত মন্তব্যগুলোকে প্রতীকরূপে সংঘবদ্ধ করে। লেখক-পাঠকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার এই সরলতা এবং অনুভূতিই তার জনপ্রিয়তাকে বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করে। শ্রেণিগত প্রত্যাশার অন্বেষণ এবং তা প্রকাশের ক্ষেত্রে আর্নক্সের সাহস তার কাজের বিষয়বস্তুতেও প্রতিফলিত হয়। তিনি তার অবৈধ গর্ভপাত, যৌন ঘনিষ্ঠতা, সম্মতির বিষয়, স্তন ক্যান্সার এবং তার মৃত বোনসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ বিষয় সম্পর্কে লিখেছেন।

তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ, দ্য ইয়ারস, (২০১৯), শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি একটি পাবলিক ডায়েরি যা আরও উদাহরণ হিসেবে পড়া যেতে পারে, এটি ফ্রান্সের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে প্রসারিত করে, তার নিজের গল্প এবং তার প্রজন্মের যৌথ গল্পের সাথে মিশ্রিত করে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত, দ্য ইয়ার্স ইংরেজীভাষী পাঠকদের কাছে তার সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে - এবং সেই মনোযোগ এখন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জুরি দ্বারা সানন্দে প্রসারিত হয়েছে। নোবেল সাহিত্য কমিটির চেয়ারম্যান এ্যান্ডারস ওলসেন আর্নাক্সের কাজকে, আপোসহীন এবং সরল ভাষায় লিখিত ও পরিষ্কারভাবে মুন্ডিত হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

টনি মরিসন এবং অ্যালিস মুনরোসহ তার পূর্ববর্তী অনেক নারী পুরস্কার বিজয়ীর মতো, এরনোও তার লেখার জীবন কাটিয়েছেন যারা সাহিত্যে কম বা প্রতিনিধিত্বহীন রয়ে গেছেন। তবুও এই পুরস্কার তাদের অভিজ্ঞতার স্বরগুলোকে আরও স্পষ্টভাবে অনুরণনের অনুমতি দেবে।


আরও খবর

একেক শিশুর পছন্দ একেক ধরনের বই

শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

খুলে গেল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার গেট

মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর