মরুর বুকে ফুটবল
বিশ্বকাপের ২২তম আসরে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের লক্ষ্য লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের।
এজন্য নেইমার-রিচার্লিসনদেরকে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম হট ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছে।
পরিসংখ্যানের দিক দিয়েও অন্য সব দলের চেয়ে যোজনে যোজনে এগিয়ে কোচ তিতের সেলেসাওরা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবার উপরে থাকা দলটিকে নিয়ে ভক্ত সমর্থকদের আশাও তুঙ্গে।
বৃহস্পতিবার
(২৪) দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১ সার্বিয়ার বিপক্ষে
ম্যাচে নামবে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এই ম্যাচের শুরুর একাদশে কে
থাকবেন তা এখনও নিশ্চিত করেননি কোচ তিতে।
তবে একাদশ যেমনই
হোক না কেনো, সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মুডেই থাকবে সবশেষ
২০০২ সালের বিশ্বকাপ জেতা দলটি। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার
কথায় তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দেয়। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাটা প্রত্যেক ব্রাজিলিয়ানের ডিএনএর
অংশ বলে অভিমত বার্সেলোনার এ তারকার।
এবারের বিশ্বকাপ
ব্রাজিলের ঘোড়া বলা হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। তবে সার্বিয়ার বিপক্ষে
ম্যাচের প্রথম একাদশে থাকবেন কিনা কোচ তিতে পরিষ্কার করে বলেননি। ফলে সেলেসাওদের প্রথম
ম্যাচের আগে ভিনি এখন বড় রহস্যের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি মধ্যমাঠে কাসেমিরোর জুটি
হিসেবে ফ্রেডকে খেলাবেন কি না সেটাও শতভাগ নিশ্চিত না। মোট কথা, ম্যাচ শুরুর আগমুহূর্ত
পর্যন্ত প্রতিপক্ষ সার্বিয়াকে ধন্ধেই রাখতে চাচ্ছেন তিতে।
তবে একাদশে
যেই থাকুক না কেন, ব্রাজিল এবার ছেড়ে কথা বলবে না এটা এক প্রকাশ নিশ্চিত। রাফিনহা বলেন,
‘ভিনিসিয়ুস
খুবই গতিময় ফুটবলার। সে খেললে আমরা দ্রুতগতির একজনকে পাব। সে সহজেই তার গতি দিয়ে প্রতিপক্ষের
প্রতিরোধ ভেদ করতে পারে। তবে বল প্লেয়ার হিসেবে পাকেতার আক্রমণাত্মক ভূমিকা দলকে আরও
বিপজ্জনক বানাতে পারে।’
এদিকে আরেক
তারকা ব্রাজিলিয়ান রিচার্লিসনও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা নিয়ে রাফিনিয়ার সঙ্গে একমত পোষণ
করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশিসংখ্যক খেলোয়াড়কে ওপরে খেলানোর পক্ষপাতী। বেশি
খেলোয়াড় মানেই পায়ে বেশি বল, আমার নিজের জন্যও এটা সুবিধার। আমি বেশি পাস পাব, সুতরাং
বেশি করে গোলের সুযোগ তৈরি হবে। আমি ব্রাজিলের নাম্বার নাইন হিসেবে সেটিই চাই।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে
জি গ্রুপে রয়েছে ব্রাজিল। যেখানে শিরোপা স্বপ্নে সার্বিয়া ছাড়াও নেইমারদের প্রতিপক্ষ
সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।