কুমিল্লার চান্দিনায়
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এক নারী আসামির লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার
সকালে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের গল্লাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের খারকান দিঘীরপাড় থেকে লাশটি
উদ্ধার করা হয়।
নিহত সেলিনা বেগম
(৪০) ওই গ্রামের দিনমজুর নাছির উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে,
টাকা লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলায় নাছির উদ্দিন, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে তানজিনা
আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তাদের গ্রেফতারে
অভিযানে গেলে পুলিশের ভয়ে সেলিনা বেগম ঘরের পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে,
পালানোর সময় পুকুরে পা পিছলে পড়ে মারা গেছেন তিনি।
তবে পরিবারের
দাবি, মামলার বাদীপক্ষ সেলিনাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়,
একই এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত নাছির
উদ্দিন, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে তানজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
জারি করেন।
গত ১১ আগস্ট ওই
গ্রেফতারি পরোয়ানা চান্দিনা থানায় আসে। পুলিশ শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করতে ওই বাড়িতে
যায়। এ সময় নাছিরের স্ত্রী সেলিনা বেগম প্রকৃতির ডাকের কথা বলে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে
যান। পুলিশ খোঁজাখুঁজি করে সেলিনা বেগমকে না পেয়ে নাছির উদ্দিন ও তার মেয়ে তানজিনাকে
গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরদিন রোববার
সকালে এলাকার লোকজন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর
দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নাছির উদ্দিন
জানান, শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ আমার বাড়িতে আসে। আমি দরজা খুলে দিই। পুলিশ
জানায় আমাদের থানায় যেতে হবে, আমাদের নামে ওয়ারেন্ট আছে। এ সময় আমার স্ত্রী প্রকৃতির
ডাকের কথা বলে বাইরে যায়। এরপর আমার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি।
তিনি অভিযোগ করে
বলেন, পুলিশ চলে আসার পর মামলার বাদীপক্ষ আমার স্ত্রীকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে।
চান্দিনা থানার
ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, ওই নারী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন
সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, বসতঘরের
পেছনের ওই পুকুরের পাড় অনেক উঁচু। হয় তো গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে
পুকুরে পড়ে যেতে পারেন তিনি। পুকুরের মধ্যে অনেক ঝোপঝাড় থাকায় উঠে আসাও সম্ভব হয়নি
তার।